জন্মদিনটি কিভাবে কাটল?
পরিবার, আত্দীয়স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী আর ভক্তরা মিলে আমার জন্মদিনটি বেশ ঘটা করেই পালন করল। সকাল থেকে ফোনে এবং সরাসরি শুভেচ্ছা জানানো শুরু হলো, আবার বেশকটি টিভি চ্যানেল আমাকে নিয়ে জন্মদিনকে ঘিরে লাইভ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করল। সব জায়গায় একের পর এক কেক কাটলাম। বিকালে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়, চারুনীরুম, টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার এসোসিয়েশন ও ডিরেক্টরস গিল্ড আনন্দ আড্ডা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করে। আমাকে তারা ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানায়।
এখন আর তখন, মানে শিশু-কিশোরবেলা আর এখনকার জন্মদিনের অনুভূতির মধ্যে কোনো পার্থক্য মনে হয়?
আসলে ছোটবেলায় জন্মদিন পালন হতো না। কারণ তখন জন্মদিনের কালচার তেমন একটা ছিল না। মূলত বিয়ের পর থেকেই আমার স্ত্রী পরে সন্তানরা আমার জন্মদিন পালন করা শুরু করল। তাই তখন আর এখনের মধ্যে পার্থক্যের হিসাব কষাটা আর হয়নি। তবে বড়বেলায় এসে জন্মদিন পালনের স্বাদ নিতে পারাটাকে খুব এনজয় করি। এটি আমার কাছে এখন খুব ইমপটেন্ট একটি ব্যাপার।
সবাই বলে বয়স বাড়ে, কিন্তু আপনি কি বলেন?
আমার তো বয়স কমছেই, এখন আমি ইয়াং জেনারেশনের সঙ্গে মেলামেশা করি, তাদের সঙ্গে অভিনয় করি। তাদের সঙ্গে মিশতে গিয়ে নিজেকে এখন বেশ ইয়াং মনে হয়, হা...হা...হা...
সত্তরটি বসন্ত পাড়ি দিয়ে জীবনের হিসাবে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির যোগ-বিয়োগ করা হয়েছে কি?
আমার জীবনের হিসাবে শুধুই প্লাস যোগ হয়েছে। কারণ আমার চাওয়া সব সময়ই অল্প ছিল। তাই পেয়েছি বেশি। বাবা বলতেন, আকাশ চেও না, প্রাসাদ নয়, কুঁড়ে ঘরই যথেষ্ট। তাহলেই জীবনে সফলতা আসবে। অপূর্ণতার হতাশা কখনো কুরে কুরে খাবে না। বাবার এ কথা এখনো মেনে চলি। তাই বাবার দোয়ায় আমার চারদিকে শুধু পূর্ণতা আর পূর্ণতা।
অভিনয় জীবনের শুরুটা কখন কিভাবে?
স্কুল জীবন থেকেই শুরু। সেই ১৯৫৪ সালে মাত্র ১০ বছর বয়সে চট্টগ্রামে প্রথম 'টিপু সুলতান' নাটক দিয়ে আমার অভিনয় জীবন শুরু হয় এবং এখনো চলছে। অভিনয়ের জন্য ১৯৯৬ সালে প্রকৌশলী পেশা ত্যাগ করি। এতে আমার কোনো দুঃখ নেই। কারণ অভিনয়কে আমি বড় ভালোবাসি।
অভিনয় নিয়ে এখনকার ভাবনা কি?
জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অভিনয় করে যেতে চাই। কারণ অভিনয় হলো আমার জীবন, প্রার্থনা, ধ্যান জ্ঞান সবকিছু। আমার একমাত্র চাওয়া অভিনয় করতে করতেই যেন আমার জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে। এর চেয়ে বড় সুখ আর কিছুই হবে না।
আলাউদ্দীন মাজিদ