কী বলব! মনটা বিষণ্ন। চোখ বেয়ে আপনাআপনি জল গড়িয়ে পড়ল খবরটা শুনে। ফিরোজা আপা আর নেই। বুকের ভেতরটা হু হু করে উঠল। পাঁচ দশক আগে থেকে ফিরোজা আপার সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল। আমার বাবা [আব্বাস উদ্দীন] এবং আমার সঙ্গে গান নিয়ে অনেক আলাপ হতো তার। সেই সুবাদে আমিও তার সানি্নধ্যে থাকার সুযোগ পেয়েছিলাম।
আমাদের মধ্যে আত্দিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তিনি কলকাতায় অসংখ্য গান রেকর্ড করেছিলেন। পরবর্তীতে সেগুলোর মধ্য থেকে কয়েকটি গান আমি গেয়েছিলাম। সেগুলো শুনে তিনি আমার সঙ্গে কথা বলতেন, সুর ও গায়কী ভুল হলে শুধরে দিতেন।
দুই-তিন বছর ধরে ফিরোজা আপা অন্য কারও ফোন তেমন একটা ধরতেন না। কিন্তু আমার ফোন কখনো তিনি এড়িয়ে যাননি। বরং নিজেই ফোন করে আমার সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলতেন।
আমাদের মধ্যে বেশির ভাগ কথাই হতো নজরুলের গান নিয়ে। তিনি বলতেন, আমাদের দেশে বেশির ভাগ শিল্পী সঠিকভাবে নজরুলের স্বরলিপি মেনে গাইছে না।
ফিরোজা আপা আর নেই, এটা ভাবতে মন চায় না। চাইবে না। তিনি শারীরিকভাবে হয়তো নেই। কিন্তু তিনি অমর শিল্পী,
মনেই তার বসবাস।