নাগরিক নাট্যাঙ্গনের নতুন কোনো পরিকল্পনা আছে কি?
'লাল লাটিম' নামে খুব শীঘ্রই একটা নতুন নাটক মঞ্চে আনছি। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনার কাজগুলোও আমি করেছি। এই নাটকটি মঞ্চায়নের পর নাগরিক নাট্যাঙ্গন শিল্পের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে আমি মনে করি। এ ছাড়া খুব শীঘ্রই 'প্রাগৈতিহাসিক' নাটকটির শততম মঞ্চায়ন হবে এবং বাকি তিনটির সুবর্ণজয়ন্তির মঞ্চায়ন হবে।
কোন বৈশিষ্ট্যের কারণে নাটকটি নিয়ে আপনি এত আশাবাদী?
এটি একটি মুক্তিযুদ্ধের নাটক। লাল লাটিমকে নাটকটিতে রূপক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের নাটক তো অনেক হচ্ছে। তবে গল্প ও আনুষঙ্গিকতার কারণে এই নাটকটি একটু ভিন্নধারার।
আগামী বছরের ১ জানুয়ারি নাগরিক নাট্যাঙ্গন বিশ বছরে পদার্পণ করছে। দুই দশকে পদার্পণ উপলক্ষে আপনাদের কোনো বিশেষ কার্যক্রম আছে কি?
গত ৪২ বছর ধরে আমি মঞ্চের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আর আমার স্বামী ড. ইনামুল হক সম্পৃক্ত আছেন ৫৬ বছর। সে ক্ষেত্রে বিশ বছর খুব একটা বেশি সময় নয়। আমাদের ব্যক্তিগত পূর্ণতা আগেই হয়ে গেছে। তবে নতুনদের জন্য বিশ বছর পূর্তিতে আমরা একটি বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিচ্ছি। দলের কর্মকাণ্ডের ইতিহাস নিয়ে একটি বই প্রকাশ করব। এ ছাড়া নাট্যপত্রের বিশেষ সংখ্যাও বের করা হবে। এসব কিছুই নতুনদের সেলিব্রেশন করার জন্য।
এনএনআইডি সম্পর্কে কিছু বলুন।
এনএনআইডি হচ্ছে নাগরিক নাট্যাঙ্গন ইনস্টিটিউট অব ড্রামা। এই প্রতিষ্ঠানটিতে আমরা নাটকের ওপর ছয় মাস মেয়াদি কোর্স করিয়ে থাকি। কোর্সের মধ্যে রয়েছে অভিনয়, লাইটিং, কস্টিউম ডিজাইন, সেট ডিজাইন ইত্যাদির ওপর প্রশিক্ষণ। কোর্স শেষে তাদের দিয়ে একটি প্রযোজনাও করে থাকি। এ পর্যন্ত এনএনআইডির ১৮টি প্রযোজনা হয়েছে। বর্তমানে ১৮তম ব্যাচ চলছে।
ঐতিহ্য থাকলেও মঞ্চ নাটকের জৌলুসটা এখন আর নেই। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী?
অতীত সবসময়ই ঐশ্বর্যময় থাকে। তবে অগ্রগতি থেমে থাকে না। আশা করি মঞ্চের আগ্রগতি আরও হবে। তবে এটাও ঠিক যে, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রভাব এবং স্পন্সরের অভাবে মঞ্চ তার জৌলুস কিছুটা হলেও হারিয়েছে।
অনুবাদ নাটকই বেশি হয়ে থাকে। আমাদের মৌলিক নাট্যকারের কি খুবই অভাব?
বিদেশি নাট্যকারদের নাটক করা দোষের কিছু নয়। সব নাট্যকারই মানুষের কথা বলে। তবে বিদেশি নাট্যকারদের নাটক বেশি মঞ্চায়ন হচ্ছে, এটা ঠিক না। আমাদের দেশেও ভালো ভালো নাট্যকার আছে। তবে সংখ্যায় খুব কম।
মোস্তফা মতিহার