মৌসুমী
১৯৯৩ সালে অভিনয়ে আসেন মৌসুমী। একসময় তার সহশিল্পী ওমর সানির সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু সাংবাদিক বা কাছের মানুষদের বরাবরই তিনি বলেছেন, সানি আমার ভালো বন্ধু, আর কিছু নয়। তবে বেশিদিন এমন সংলাপ চালিয়ে যেতে পারেননি মৌসুমী। কানাঘুষার মুখে একসময় গোপন প্রেম-বিয়ের কথা স্বীকার করে সংসার জীবন শুরু করেন তিনি।
শাবনাজ
১৯৯১ সালে চলচ্চিত্রে আসেন শাবনাজ। তার প্রথম ছবির নায়ক নাঈমের সঙ্গে একসময় প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু 'সবই গুজব এবং ও আমার ভালো বন্ধু' বলে মিডিয়াকে বোকা বানাতে চান তিনি। তার এই কৌশলগত সংলাপ বেশি দিন ধোপে টিকেনি। একসময় কথিত ভালো বন্ধু নাঈমকে বিয়ে করে মিডিয়ার খবরকে সত্যি প্রমাণ করেন তিনি।
পূর্ণিমা
১৯৯৭ সালে চলচ্চিত্রে আসার পর অনেক নায়কের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে খবরের শিরোনাম হন পূর্ণিমা। কিন্তু তার কথায় সবাই ছিল তার ভালো বন্ধু। একসময় চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী আহমদ ফাহাদ জামিলের সঙ্গে তার গোপন প্রেম-বিয়ের খবর চাউর হলে সে খবরকেও গুঞ্জন বলে চালিয়ে দেন তিনি। তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি তার। মিডিয়ার চাপে ২০০৭ সালে জামিলের সঙ্গে গোপন বিয়ের কথা স্বীকার করতে হয় পূর্ণিমাকে।
পপি
১৯৯৬ সালে চলচ্চিত্রে আসেন পপি। একসময় সহশিল্পী শাকিলের সঙ্গে গোপন প্রেমে জড়ান তিনি। সেই প্রেম গোপন বিয়েতে গড়ালেও মিডিয়ার সামনে তারও সেই বচন-'ও আমার ভালো বন্ধু'। কিন্তু বেশিদিন শাক দিয়ে তার পক্ষে মাছ ঢাকা সম্ভব হয়নি। পপির মা এই বিয়ে মেনে না নেওয়ায় ঘটে বিপত্তি। শাকিলের ফ্ল্যাটে পপির মা গিয়ে পপি ও শাকিলকে মারধর এবং ঘটনা আদালত পর্যন্ত গড়ালে পপির সেই ভালো বন্ধু আর বন্ধু থাকেনি।
শাবনূর
১৯৯৩ সালে চলচ্চিত্রে আগমনের পর থেকে একের পর এক প্রেম করেছেন এবং যথারীতি তা অস্বীকারও করেছেন শাবনূর। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তার। তিনি শুধু গোপনে প্রেমই করেননি, বিয়েও করেছেন। তাও তার সহ-নায়ক অনিককে। কিন্তু আগে অস্বীকার করায় শেষ পর্যন্ত বিদেশে গিয়ে বিয়ের কথা স্বীকার করতে হয়েছে তাকে। শুধু প্রেম-বিয়ে নয়, এক মাসের মধ্যে মা হচ্ছেন এমন খবরও জানালেন সুদূর অস্ট্রেলিয়ায় বসে। সেখানে এক পুত্রসন্তানের জন্মও দেন তিনি। এই লুকোচুরির কারণে মিডিয়ায় তার প্রেম-বিয়ে আর সন্তান নিয়ে নানা মুখরোচক গল্পও তৈরি হয়েছে।