নতুন একটি চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করেছেন।
অসাধারণ একটি গান গেয়েছি। ফরিদ ভাই অত্যন্ত গুণী সুরকার। বলা যায় প্রায় একযুগ পর তার সুর-সংগীতে গান করেছি। সর্বশেষ তার সুরে অরুন চৌধুরীর একটি নাটকে শীর্ষ সংগীত গেয়েছিলাম। এবার গেয়েছি একটি সরকারী অনুদানের ছবিতে। ছবির নাম 'লালচর'। ছবিটি নির্মাণ করবেন অভিনেতা নাদের চৌধুরী।
প্লে-ব্যাকে আপনার শুরু কিভাবে?
মাসদু পারভেজ [সোহেল রানা] প্রযোজিত 'ঘেরাও' ছবিতে আমি প্রথম প্লে-ব্যাক করি। আমার কণ্ঠ তার এতটাই ভালো লেগেছিল যে এই ছবির পাঁচটি গানে আমিই কণ্ঠ দিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত আমি ৭০০ ছবিতে গেয়েছি।
১৯৯০ সালে আপনার প্রথম একক অ্যালবাম 'হে যুবক' বাজারে আসে। গানে গানে দুই যুগ পার করেছেন। কীভাবে কাটলো এতটা বছর?
কখন যে দেখতে দেখতে দুই যুগ পেরিয়ে গেছে ভাবতেই পারিনি। 'হে যুবক' থেকে শুরু হয় আমার পথচলা। মিল্টন খন্দকারের কথা ও সুরেই মিডিয়াতে গানের একজন হিসেবে আমার অভিষেক। এরপর কত শত মানুষের লেখা এবং সুরে গেয়েছি আমি তার কোনো হিসাবে নেই। জীবনে নানান চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজ শ্রোতাদের কাছে আমি সমাদৃত একজন শিল্পী। জীবনে এরচেয়ে বড় আর কী-ই বা পাওয়ার আছে। শিল্পী হিসেবে দেশে, দেশের বাইরে যে সুনাম আছে তা আজীবন ধরে রাখতে চাই আমার শ্রম আর সাধনা দিয়ে।
নতুন অ্যালবাম আসার কথা ঈদে?
না, ঈদে আমার ভক্ত শ্রোতাদের নতুন অ্যালবাম দিতে পারছি না। কারণ ঈদে দিতে গেলে অনেক তাড়াহুড়া হয়ে যাবে। আমি আমার এবারের অ্যালবামটি অনেক যত্ন নিয়ে করছি।
শিল্পী মানেই সমাজের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা, সেই দায়বদ্ধতা থেকে কী কিছু করার আছে?
শুধু শিল্পী বলেই নয়, সমাজের প্রতিটি মানুষেরই কিছু না কিছু করা উচিত। আমারও সেই চেষ্টা আছে। হয়তো বড় কিছু করতে পারবনা। কিন্তু কিছু করার সদিচ্ছা আমার আছে। আমি মনেকরি নিজের জীবনের জন্যই শুধু নয় মানুষের কল্যাণের জন্যও কিছু করতে হয়। যদি তা করা যায় তাহলেই সমাজের প্রতিটি মানুষ সুখে থাকবে শান্তিতে থাকবে।
এই সময়ের গান নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
ভালো মন্দ পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে ছিল, আছে হয়তো থাকবেও। গানের ক্ষেত্রেও তাই। ভালো মন্দ মিলিয়েই গান হচ্ছে এখনো। কেউ মন থেকে চেষ্টা করছেন ভালো গান করার। আবার কেউ দায়সারাভাবে কাজ করছেন। তবে ভালো কোনকিছুরই বিকল্প নেই। গানে সাধনা ছাড়া কোনোকিছুই করা সম্ভব নয়। ভালো গান শ্রোতাদের মাঝে দিতে হলে গীতিকার, সুরকার এবং শিল্পী সবার মাঝে সমন্বয় থাকাটা যেমন জরুরি ঠিক তেমনি আন্তরিকতা থাকাটাও জরুরি। তবেই হয়তো আরও ভালো ভালো গানের সৃষ্টি হতে পারে বাংলা গানের ভাণ্ডারে।
শোবিজ প্রতিবেদক