হলিউডে কুড়ি পেরোনো তারকারা নতুন নতুন ছবি নিয়েই পড়ে থাকতে চান। কিন্তু এমা ওয়াটসন সে দলের নন। জাতিসংঘ নারী শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে বক্তব্য রেখেছেন তিনি। এখানে নারী-পুরুষ বৈষম্য দূরীকরণে পুরুষদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শুধু নারীই নয়, পুরুষদেরকেও তাদের প্রয়োজনেই এ বিষয়ে ভাবা দরকার বলে মনে করেন এমা। তাদের মেয়ে, বোন ও মা তাহলেই গোড়ামি থেকে মুক্ত হতে পারবে। ছয় মাস আগে জাতিসংঘের কাছ থেকে দায়িত্বটি পেয়েছেন ২৪ বছর বয়সী ব্রিটিশ এই অভিনেত্রী। এই সময়টাতে তিনি দেখেছেন নারীবাদ শব্দটি অজনপ্রিয়। তিনি এ-ও উপলব্ধি করেছেন নারী অধিকার নিয়ে লড়াই করা যেন পুরুষদের ঘৃণা করার সমার্থক! কিন্তু এ ধারণা ভুল। জাতিসংঘের উদ্যোগে 'হিফরশি' নামের একটি বিশ্বসংহতির কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন এমা। নারী অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং নারী-পুরুষ সমতা অর্জনে যত বেশি সম্ভব মানুষের সহায়তা তালিকাভুক্ত করাই এর লক্ষ্য। নারী অধিকারের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত বলে মনে করেন তিনি। তার ভাষ্য, 'নারী ও পুরুষের সমঅধিকার ও সুযোগ-সুবিধায় বিশ্বাসী আমি। এটাই যে কারও জন্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভারসাম্য বজায়ের মূল তত্ত্ব।' পৃথিবীর কোনো দেশেই নারী-পুরুষ সমঅধিকার নিশ্চিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন এমা। খুব তাড়াতাড়ি পরিস্থিতি পাল্টে যাবে বলেও মনে করেন না তিনি।