আমি কি পচে গেছি নাকি, আমার কি সবই শেষ? অনেকটা উত্তেজিত স্বরে কথাগুলো বললেন হালের আলোচিত ‘আনহ্যাপী’ ঘটনার নায়িকা হ্যাপী। বেশ কিছুদিন ধরে হ্যাপী ও রুবেলকে ঘিরে কোনোরকম উচ্চবাচ্য শোনা যাচ্ছে না মিডিয়াতে। কারণ জামিন নিয়ে বিশ্বকাপ স্কোয়াডের হয়ে অস্ট্রেলিয়াতে রয়েছেন রুবেল। আর হ্যাপী রয়েছেন ঢাকায়। অনেকটা নীরবেই কাটছিল তার এ কটা দিন। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে আবারও ঝড় বয়ে যাচ্ছে একটি সংবাদকে ঘিরে।
জানা গেছে, চাঁদপুরের এক যুবক হ্যাপীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। সেই যুবকের মতে, অতীতকে ভুলে হ্যাপীকে গ্রহণ করতে রাজি সেই যুবক। আর এই নিউজকে কেন্দ্র করে নিত্যনতুন গুঞ্জন ডালপালা মেলছে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে। জানা গেছে, রুবেল ফিরিয়ে দিলেও হ্যাপীকে নিজের জীবন সঙ্গিনী করতে চান চাঁদপুরের যুবক গাজী মাজহারুল ইসলাম শওকত (২৩)।
নিজেকে মোবাইল ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর তরুণ ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়েছেন শওকত। বলেছেন, রুবেল-হ্যাপীর মধ্যকার সম্পর্ক জেনেও আমি তাকে বিয়ে করতে আগ্রহী। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে শওকত বড়। মা ও বাবা স্পেন প্রবাসী। ছোট ভাইকে নিয়ে তিনি বাজারের ওই ব্যবসা দেখেন। এখন পর্যন্ত তিনি বিষয়টি তার পরিবারকে জানাননি। তবে পরিবার জানলে আপত্তি করবে না।
সমাজের কারও বলা কথাও তিনি গায়ে মাখেন না জানিয়ে বলেন, ‘আমি চাই হ্যাপীর পাশে দাঁড়াতে। তাকে নিয়ে মানুষের ভুল ধারণা ভেঙে দিতে। তাকে সবাই মিলে একঘরে করে রেখেছে, এটা ঠিক নয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে হ্যাপী বলেন, আমি বুঝতে পারছি না, আমাকে নিয়ে সবার এত আগ্রহ কেন? তাছাড়া আমি তো রাস্তায় পড়ে যাইনি বা পচে যাইনি যে, যে কেউ আমাকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবে। বিয়ের প্রস্তাবকে আমি খাঁটো করে দেখছি না। তার মানে এই নয় যে, সবাই আমাকে করুণার চোখে দেখবে।
তিনি আরও বলেন, এটা সত্য যে, অনেকেই আমাকে ঘৃণা করেন। কিন্তু তাদের বোঝা উচিত কতটা নিরুপায় হয়ে এসব বিষয় নিয়ে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি। আমি তো সেইসব মেয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছি যারা মুখ বুঝে ধনীর দুলালদের অনেক গঞ্জনা-লাঞ্ছনা সহ্য করে।
সব শেষে এটাই বলতে চাই, হ্যাপী ছিল আছে এবং থাকবে।