বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ছবিটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। সফলতার ব্যাপারে আপনার প্রত্যাশা কেমন?
দেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে আমিও একজন সাধারণ মানুষ। আজ মানুষের স্বপ্ন পুড়ছে পেট্রলবোমায়। আর এ সময় স্বপ্ন দেখতে ভয় পাচ্ছি। আজ রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের নিয়ে যে খেলা খেলছে তা আমাদের কল্পনারও বাইরে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ছবিটি কতখানি সফল হবে জানি না। তবুও আশা রাখি, দর্শক আসবে। ছবিটি দেখবে। তাদের ভালো লাগা, মন্দ লাগা শেয়ার করবে।
ছবিটি নিয়ে কিছু বলুন।
আমি ছবিটি নিয়ে বলব, যে দর্শক ছবির প্রথম থেকে তিন-চার মিনিট দেখবে সে ছবিটি ছেড়ে উঠতে পারবে না। কারণ এটি একটি গল্পনির্ভর ছবি। জিরো ডিগ্রিতে আমরা পুরো টিমই বাংলাদেশের দর্শকদের নতুন কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। একটা নতুন লুক পাবে দর্শকরা। আমি পুরস্কারের জন্য ছবি বানাইনি, আমি পুরোটাই অ্যান্টারটেইনের জন্য বানিয়েছি। তবে এফডিসিকেন্দ্রিক ছবিগুলোর মতো নয়। আমরা কোনো ফর্মুলা ছবি বানাইনি। যেমন পাঁচটা গান চারটা ফাইট। জিরো ডিগ্রিতে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি আছে, হৃদয়বিদারক কান্না আছে, দর্শকদের জন্য নতুন কিছু আছে বলে মনে করি। আশা করি যারা ছবিটি দেখবে তারাই অন্য দর্শক টেনে নিয়ে আসবে।
চলচ্চিত্র অভিনয়ে আপনাকে কি নিয়মিত পাচ্ছি?
হ্যাঁ। অভিনয়ে হোক, প্রযোজনায় হোক, পরিচালনায় হোক- আমি সব সময় চলচ্চিত্রের সঙ্গে থাকতে চাই। কিন্তু চলচ্চিত্রে অভিনয়ে নিয়মিত হব কিনা এটা নির্ভর করছে ছবির গল্পের উপর। ভালো গল্প হলে আমি নিয়মিত ছবিতে কাজ করব। তবে সে ক্ষেত্রেও বছরে একটির বেশি ছবি আমি করতে চাই না।
'জিরো ডিগ্রি'র মাধ্যমে আপনি প্রযোজক হিসেবেও নাম লেখালেন। তো এই ধারা অব্যাহত থাকবে কি?
হ্যাঁ। নিয়মিত সিনেমা তৈরি করার স্বপ্ন আমার আছে। ইনশাল্লাহ আমি এ ক্ষেত্রে নিয়মিত হব।
কিন্তু হলে গিয়ে যে সংখ্যক মানুষ সিনেমা দেখে তাতে কি এই ইন্ডাস্ট্রি টিকে থাকবে?
না, যে সংখ্যক মানুষ এখন হলে যাচ্ছে তার চেয়ে আরও অনেক দর্শক লাগবে আমাদের। সত্তর আশির দশকে সপরিবারে সিনেমা দেখত এ দেশের মানুষ। সিনেমায় লেখা থাকত সপরিবারে উপভোগ করার মতো ছবি। কিন্তু ওই জায়গা থেকে আমরা নানা কারণে সরে গেছি। একটা ভালো ছবি যে বানাবে, নতুন ঘরানার ওই ছবি দেখাতেও তো হল লাগবে, তাই নয়। যেখানে সিনেমা হল নেই, তাহলে আমি বানিয়ে সেটা দেখাব কোথায়। ধরেন, যত হল আছে এই হলগুলোতে একেকটা ছবি যদি তিন মাসও চলে তাও তো টাকা উঠবে না। কিন্তু আমরা যারা মিডিয়ায় বড় হয়েছি, মিডিয়ার প্রতি আমাদের একটা প্রেম আছে, আন্তরিকতা আছে, এটাই দায়বদ্ধতা। এই ভালোবাসা থেকেই এই উদ্যোগ। দেখি একটা উদ্যোগে দর্শকরা যদি ফিরে আসে তাহলে ধারাবাহিকভাবেই আমরা তাদের জন্য কাজ করে যাব।
নাটকে অভিনয় কমিয়ে দিয়েছেন একেবারেই?
আমি আপাতত কোনো নাটকে অভিনয় করছি না। কারণ নাটকে অভিনয় করতে করতে আমি এখন ক্লান্ত। যখন ক্লান্তি ভাবটা একটু কমবে, আবার নাটকে কাজ শুরু করব।
* আলী আফতাব