একসময় যাত্রার মঞ্চে তুখোড় অভিনয় করতেন জ্যোৎস্না বিশ্বাস। যাত্রাশিল্পে তার অবদান অনেক। পাশাপাশি একুশে পদকপ্রাপ্ত যাত্রাশিল্পী অমলেন্দু বিশ্বাসের স্ত্রী হিসেবেও তার বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। জ্যোৎস্না বিশ্বাস এখন আর নিয়মিত অভিনয় করেন না। খুব ভালো কোনো প্রস্তাব পেলে টুকটাক অভিনয় করেন। সেই নিয়মে মেয়ে অরুণা বিশ্বাসের অনুরোধে আবার অভিনয় করেছেন তিনি। না, যাত্রায় নয়। তিনি অভিনয় করেছেন টিভিনাটকে। অরুণা বিশ্বাস আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নির্মাণ করেছেন একক নাটক 'ধুলোর আকাশ'। এ নাটকেই অভিনয় করেছেন তিনি। নাটকটি রচনা করেছেন মান্নান হীরা। নাটকে জ্যোৎস্না বিশ্বাস অভিনয় করেছেন ধুলো বুড়ি চরিত্রে। অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ধুলো বুড়ি চরিত্রটি খুব পছন্দ হয়েছে। তাই অভিনয় করেছি। সময়টা আসলে এখন এমন, মন থেকে যদি আগ্রহ না আসে তাহলে অভিনয় করি না। অরুণা আমার মেয়ে বলেই বলছি না, তার নির্দেশনা জ্ঞান খুব ভালো। আমার মনে হয় সে যদি নির্মাণে নিয়মিত হয় তাহলে আমাদের মিডিয়াকে আরও অনেক ভালো কিছু দিতে পারবে।' অরুণা বিশ্বাস বলেন, 'আমার নির্দেশনায় মা বেশকয়েক বছর আগে বড়দিদি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছিলেন। ধুলো বুড়ি চরিত্রে আমি আমার মায়ের বিকল্প কাউকে ভাবতে পারিনি। অসাধারণ অভিনয় করেছেন তিনি। আমার বিশ্বাস মায়ের অভিনয় সবার মধ্যে নতুন ভাবনার জোগান দেবে।'
আসছে একুশে ফেব্রুয়ারি এটিএন বাংলায় নাটকটি প্রচার হবে। এদিকে আসছে ২০ মার্চ জ্যোৎস্না বিশ্বাস দেশের যাত্রাশিল্পে বিশেষ অবদান রাখার জন্য পেতে যাচ্ছেন 'বাবিসাস' আজীবন সম্মাননা। জ্যোৎস্না বিশ্বাস এমনই একজন যাত্রাশিল্পী যিনি 'চারনিক নাট্যগোষ্ঠী'র হয়ে তিন শতাধিক যাত্রাপালায় পাঁচ হাজার রজনীর বেশি রজনীতে অভিনয় করে দর্শককে যুগ যুগ ধরে মুগ্ধ করেছেন। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে জ্যোৎস্না বিশ্বাস বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য যাত্রাপালা 'সিরাজউদ্দৌলা' নির্মাণ করেন। এতে জ্যোৎস্না বিশ্বাস ঘসেটি বেগম এবং অরুণা বিশ্বাস আলেয়া চরিত্রে অভিনয় করে দর্শককে মুগ্ধ করেন। জ্যোৎস্না বিশ্বাস সর্বশেষ আফসানা মিমির পরিচালনায় এটিএন বাংলায় প্রচারিত ধারাবাহিক নাটক 'পৌষ ফাগুনের পালা'তে অভিনয় করেন।