বছর না পেরোতেই বিচ্ছেদ ঘটলো কণ্ঠশিল্পী হৃদয় খান এবং সুজানার দাম্পত্য জীবনের। গত বছরের ১ আগস্ট দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ককে বিয়েতে রূপ দেন তারা। কিন্তু সুজনা বয়সে হৃদয়ের চেয়ে বড় হওয়ায় তাদের বিয়ে মেনে নেননি হৃদয়ের পরিবার। তাই নিজের বাড়ি ছেড়ে রাজধানীর মিরপুরে বাসা ভাড়া করে থাকতেন হৃদয়।
জানা যায়, বেশকদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল যে তাদের দাম্পত্য জীবন ভালো যাচ্ছে না। সোমবার যে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বিচ্ছেদের পথ বেছে নেন হৃদয় খান। যদিও সুজানা বিচ্ছেদ চাচ্ছিলেন না। চেয়েছিলেন একটি সমাধান।
সোমবার বিকেল ৪টায় কাজী অফিসে তালাকনামায় স্বাক্ষর করেন হৃদয়। একইদিনে তালাকনামায় স্বাক্ষর করার কথা সুজানার। অন্যদিকে, হৃদয়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সুজানার। টেলিভিশন, রেডিওসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সুজানার প্রতি যে ভালোবাসা হৃদয় প্রকাশ করতেন বিয়ের পর ঠিক তার উল্টোটাই নাকি করতেন হৃদয়।
উল্লেখ্য, হৃদয়-সুজানা উভয়ই এর আগেও একবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। ২০১০ সালের গোড়ার দিকে পূর্ণিমা আকতার নামের একটি মেয়েকে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন হৃদয় খান। ছয় মাসের মাথায় হৃদয় খানের সেই সংসার ভেঙে যায়। অন্যদিকে ২০০৬ সালে ফয়সাল আহমেদ নামের একজনকে প্রথম বিয়ে করেন সুজানা। চার মাসের মাথায় তখন বিচ্ছেদ ঘটে।
বিডি-প্রতিদিন/০৬ মার্চ, ২০১৫/মাহবুব