আরিফিন শুভ। নামে যার শুভ্রতার হাতছানি কাজেও শ্বেত কপোতের মতো নীলাকাশে উড়াউড়ি। ছবি মুক্তির সংখ্যা নেহাত কম হলেও নামডাক ছড়িয়েছেন নিজের যোগ্যতায়। ঢালিউডে শিল্পী সংকট যখন চরমে তখন ইন্ডাস্ট্রির আশীর্বাদ হয়ে এলেন তিনি। প্রথম অভিনীত 'ছায়াছবি' মুক্তি না পেলেও ছবিটি প্রচারের সীমা ছাড়িয়েছে শুভর শুভ্রতার কারণে। লম্বা গড়ন, চওড়া বুকের ছাতি মেপে তরুণীকুল শুভর অভিনয়ের স্বাদ গ্রহণে ব্যাকুল হয়ে পড়ে। প্রথম ছবি মুক্তির আগেই শুভ নামক ক্রেজে উন্মাতাল দর্শক। ছোট পর্দায় শুভর কাজ দেখে আগে ভাগে তার নায়ক হয়ে ওঠার শুদ্ধ হিসাব করে নিয়েছিল ছেলে-বুড়োরা। বড় পর্দায় এলেন 'পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী' নিয়ে। ছবিতে চরিত্রের পরিধি ছোট হলেও তার অভিনয়ের ব্যাপ্তি দর্শকের মনের পুরো বৃত্ত দখল করে নেয়। বড় পর্দায় শুরু হয় শুভর শুভযাত্রা। এরপর 'ভালোবাসা জিন্দাবাদ' বা 'অগি্ন' পর্দায় দ্যুতি ছড়ায়। সম্প্রতি 'ছুঁয়ে দিলে মন' দিয়ে সত্যি সত্যি দর্শকের মন ছুঁয়ে দেন শুভ। শুভর কথায়- গল্প বলতে বুঝি জীবনের কাছাকাছি যাওয়া। আর চরিত্র মানে বাস্তবতার সঙ্গে মিতালি করা। দুটি বিষয়কে গভীরভাবে ধারণ করেই এগুচ্ছি। হয়তো কিছুটা হলেও সার্থক হয়েছি। না হলে দর্শকের হাততালির শব্দ এত লাউড হবে কেন? নির্মাতারাও বলছেন 'তাই তো'।
শুভ নামের পেটানো গড়নের আটসাঁটো ছেলেটি এখন শুভ্রতা ছড়াচ্ছে চলচ্চিত্রের রুপালি আকাশে। দর্শকের সাদা মনের আঙিনাজুড়ে রয়েছে আরিফিন শুভর অবাধ বিচরণ...।