বেলা পৌনে একটা নাগাদ খবরটা আসতেই উল্লাসে ফেটে পড়ল বোম্বে হাইকোর্টের বাইরে জমা হওয়া ভিড়টা। বান্দ্রায় গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরেও একই ছবি। লাড্ডু খাইয়ে-বাজি ফাটিয়ে-নাচানাচি করে উৎসবে মেতে গিয়েছেন শয়ে শয়ে ভক্ত।
টুইটারেও ফের শুভেচ্ছা-বার্তার বন্যা। সকলে যেন এই নির্দেশ শুনবেন বলেই অপেক্ষা করছিলেন। ঋষি কাপুর, সাজিদ খান, অমৃতা রাও, অমিশা পটেল প্রত্যেকেই খুশি।
দিনের শুরুটা অবশ্য অন্য রকম ছিল। সকাল এগারোটা নাগাদ বোম্বে হাইকোর্টের বাইরে সালমানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন বস্তি এবং ফুটপাতবাসী। তাদের দাবি, সালমানের কারাবাসের মেয়াদ পাঁচ থেকে দশ বছর করা হোক। অন্যদিকে, আর এক অনুরাগী তো সালমানের জন্য বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন কোর্টের বাইরে। শেষমেশ পুলিশ ধরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সকাল থেকে সালমান নিজে বাড়িতেই ছিলেন বাবা-মায়ের সঙ্গে। ভাই আরবাজ আর সোহেলও ছিলেন তার পাশে। বাড়িতে এসে নায়কের সঙ্গে দিনের শুরুতেই দেখা করে যান হেলেন, হৃত্বিক রোশন, কারিনা কাপুর, সঙ্গীতা বিজলানি, সঞ্জয় দত্তের বোন প্রিয়া। হাইকোর্টে গিয়েছিলেন শুধু বোন আলভিরা অগ্নিহোত্রী। হাইকোর্টের নির্দেশ জানার পরে বেলা দেড়টা নাগাদ চালক অশোক সিংহের সঙ্গে দায়রা আদালতের পথে রওনা দেন সালমান। সাদা শার্ট আর স্পোর্টিং সানগ্লাসে দৃশ্যতই হাল্কা লাগছিল তাকে। হাতে ছিল বাবার দেওয়া লাকি রুপোর ব্রেসলেট।
জামিনের কাগজে সইসাবুদ সারতে সারতে অবশ্য গড়িয়ে যায় বিকেল। গ্যালাক্সিতে ফিরে আসেন তারকা। সন্ধ্যা সাতটার একটু আগে বারান্দায় এসে দাঁড়ান। নিচে ভিড়টা থিকথিক করছে তখনও। প্রথমে নমস্কার, তারপর স্যালুট, এবং নায়কোচিত হাত নাড়া। তার পর নিজস্ব কায়দায় বাঁ হাতের তিনটি আঙুল উঁচিয়ে দেখালেন সবাইকে। পুরো দবঙ্গ স্টাইল! মা সালমা এসে এক পাশ থেকে জড়িয়ে ধরেন ছেলেকে। ছিলেন বাবাও। আগেই অভিনন্দন জানিয়ে গিয়েছেন অনুপম খের, অজয় দেবগন, ইমরান হাশমিরা। রাতে নিজে টুইটও করেছেন সালমান।
এদিকে, ফের চাঙ্গা হয়েছে বলিউডের শেয়ার বাজারও। ইরস ইন্টারন্যাশনাল (সালমানের ছবি ‘বজরঙ্গি ভাইজানের’ প্রযোজক) আর মান্ধানা ইন্ডাস্ট্রিজ-এর (সলমনের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিইং হিউম্যান-এর সঙ্গে জড়িত) শেয়ার উঠেছে এ দিন। ‘বজরঙ্গি’ মুক্তি পাওয়ার কথা জুলাইয়ে। ইউনিটের আশা, এ বার কাশ্মীরে গিয়ে ফের শ্যুটিংয়ে যোগ দেবেন সালমান। আনন্দবাজার পত্রিকা
বিডি-প্রতিদিন/ ০৯ মে, ২০১৫/ রশিদা