হঠাৎ করে এই হারিয়ে যাওয়া কেন?
আমি এমনই। নিজের মতো থাকতে পছন্দ করি। আর যেহেতু অ্যালবাম প্রকাশ করিনি, তাই কারও সঙ্গে যোগাযোগও হয়নি। নতুন গান না নিয়ে অযথা পত্রিকা কিংবা টিভির পর্দায় চেহারা দেখানোর কোনো মানে হয় না।
'আনসেন্সরড' অ্যালবামটি নিয়ে কিছু বলুন?
পাঁচটি নতুন গানের মিউজিক ভিডিও। সেসব গানের শিরোনাম 'ঈশ্বর', 'নাচো', 'টোনা', 'আনমনা' এবং 'অ্যাই সালা'। এ ছাড়া ৯০ মিনিটের একটি তথ্যচিত্রও রয়েছে। এই তথ্যচিত্রে থাকছে আমার ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত সংগীতজীবনের উল্লেখযোগ্য সব ঘটনা।
এই অ্যালবামটিতে ভিন্ন কি আছে বলে আপনি মনে করেন?
ঘুরে-ফিরে একই ধরনের গান করতে চাইনি। পাঁচটি গানের সবই আমার লেখা এবং সুর করা। আমার স্টুডিও দ্য এঙ্পেরিমেন্টে দিনের পর দিন বসে এসব গান তৈরি করেছি। নিজেকে নতুনভাবে আনতে চেয়েছি।
আপনি এখন গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক। তা কি শুধুই নিজের গানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখবেন?
কম্পোজিশন শেখার জন্য আমার একটা আগ্রহ ছিল। অনেক কষ্ট করে শিখছি। এখন আমি নিজের কাজ করছি। অন্যের জন্যও কাজ করার ইচ্ছা আছে। তবে তার আগে আমার নিজের কাজগুলো মানুষের কান পর্যন্ত যাক।
এত কাজ একসঙ্গে করতে সমস্যা হচ্ছে না?
আমি যাদের সঙ্গে কাজ করেছি, তাদের সবার কাছ থেকে একটু একটু করে শিখছি। সবাই আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করছেন। একটা সময় এসে দেখলাম কাজগুলো করতে আমার ভালো লাগছে। প্রথতে একটু সমস্যা হলেও এখন আর তেমন সমস্যা হচ্ছে না।
'রি-ডিফাইন্ড' প্রকাশের পর পেরিয়ে গেছে পাঁচ বছর। এই দীর্ঘ সময় কী করেছেন?
আমি কিন্তু গান নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। যে প্রজেক্টটি সবাই শিগগিরই হাতে পাবেন, এর জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমার বিশ্বাস, দারুণ কিছু হয়েছে। এক বিন্দুও বাড়িয়ে বলছি না। সবাই অ্যালবামটি হাতে পেলেই বুঝতে পারবেন। আর কনসার্টে তো গান করেছি।
এরপর কী ভাবছেন?
নতুন আরও পাঁচটি গান তৈরি করেছি। আশা করছি, ওই অ্যালবামটি সবাই হাতে পাবেন কোরবানির ঈদে।
আলী আফতাব