বলিউডের ঈদ মানেই সালমান খান। দীর্ঘদিন ধরে ঈদে তার ছবি মুক্তি পেয়ে আসছে। কিন্তু এবারের ঈদটি ভিন্ন। কারণ অন্য ঈদের মতো এবার ছবি মুক্তি পায়নি তার। এবার মুক্তি পেয়েছে একেবারেই ভিন্ন স্বাদের ছবি। নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝে গেছেন, কোনো ছবির কথা বলা হচ্ছে। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন- 'বজরঙ্গি ভাইজান'।
লাভার বয় সালমানের সিনেমা মানেই এতদিন ছিল, ফিগার প্রদর্শন আর কমেডির মিশেলে মসলাদার ছবি। কিন্তু এবারের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। এবার পর্দায় এসেছেন এক বদলে যাওয়া সালমান। 'বজরঙ্গি ভাইজান' মানেই নতুন সালমানের পর্দায় আগমন। যারা এরই মাঝে ছবিটি দেখেছেন, তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। আর যারা দেখেননি তারা ছবিটি দেখলেই বুঝে ফেলবেন, নতুন সালমানের রহস্য।
এর আগের ঈদগুলোতে মুক্তি পেয়েছে ওয়ান্টেড, দাবাং, এক থা টাইগার, বডিগার্ড। কিন্তু এবার বজরঙ্গি ভাইজান মুক্তি পাওয়ায় সালমানকে একেবারেই নতুন পরিচয়ে নিয়ে এসেছে।
এবার ব্যাডবয় সালমান প্রসঙ্গ। এবারের রোজার আগেই সালমানকে নিয়ে জল অনেক ঘোলা হয়েছে। জেলে পর্যন্ত যাওয়ার অবস্থা দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। মুক্তি পেয়েছিলেন। আর মুক্তি পেয়েই শেষ করেছিলেন বজরঙ্গি ভাইজানের শুটিং। যদি জেলে যেতেই হতো, তবে আর বজরঙ্গি ভাইজান আলোর মুখ দেখত না। তাই তার মুক্তি সব হিসাব পাল্টে দিয়েছে। ভাগ্যও ঘুরিয়ে দিয়েছে। কারণ বজরঙ্গি ভাইজান এখন ইতিহাস সৃষ্টি করা একটি ছবি। ইতিহাস শুধু ছবির গল্প আর মানের দিক থেকেই নয়, ইতিহাস হয়েছে ছবির ব্যবসার ক্ষেত্রেও। তাই সাফল্য প্রসঙ্গে সালমান নিজেই বলেন, 'সব সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছেতে হয়েছে। আমরা খুবই খুশি ছবিটি নিয়ে।'
'বজরঙ্গি ভাইজান' সেই ছবি, যেই ছবিতে প্রথমে অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল আমির খানকে। কিন্তু অভিনয়ের বিশেষ কিছু করার নেই বলে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। অথচ এই আমিরই মুক্তির পরে ছবিটি দেখতে গিয়েছিলেন। দেখে কেঁদেও ফেলেছিলেন। আমির তখন নিজের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেও প্রশংসা করতে ভুলে যাননি। তিনি বলেন, 'অনেকদিন পর খুব ভালো একটি ছবি দেখলাম। হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতো গল্প। ছবিটি বলিউডের ইতিহাস আরও সমৃদ্ধ করবে।'
সালমান সুপারস্টার হলেও তার অভিনয় প্রতিভা নিয়ে বেশ সমালোচনা রয়েছে সুধী মহলে। তিনি নাকি অভিনয়ে অপরিপক্ব। কিন্তু এবারের ছবি সেই সমালোচকদের মুখের সুরও পাল্টে দিয়েছে। তাই ছবিটি সবদিক থেকেই সালমানের জন্য আশীর্বাদ।