'অপি করিম আমাদের পাশের বাসায় থাকেন'- কথাটি শুনে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। তার সম্পর্কে বাংলাদেশি দর্শকের ধারণাটা এমনই। আর তাই তিনি এতটা দর্শকপ্রিয়। কিন্তু অপি অভিনয়ে নিয়মিত নন। দর্শকের হৃদয়ের দাবি উপেক্ষা করে তিনি মজে আছেন শিক্ষকতা পেশায়। অথচ নির্মাতাদের কাছ থেকে নিয়মিতই প্রস্তাব পাচ্ছেন অভিনয়ের। ব্যস্ততার কারণে পারছেন না সময় দিতে। যতই তিনি ডুবে থাকুন অন্য কাজে, হৃদয় কিন্তু পুড়ে। এত প্রিয় অভিনয় জীবন থেকে তিনি কি করে একেবারে দূরে সরে যাবেন! পারেন না। তাই উৎসবকেন্দ্রিক নাটকগুলোতে অভিনয় করেন। তাও খুব বেছে। আর তাই এবারের ঈদে অপিকে দেখা গেছে টিভি পর্দায়।
গেল ঈদে তিনটি নাটকে অভিনয় করেছেন অপি। নাটক তিনটি হচ্ছে- শামীম শাহেদের 'হঠাৎ প্রিয়তমা', নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূলের 'ভূতের ভয়' এবং সাগর জাহানের 'এ শহর মাধবীলতার না'। তিনটি নাটকে ব্যতিক্রম তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন অপি করিম। দর্শকও দেখেছে তার নাটক। তাই সাড়াও বেশ ভালো। অপি বলেন, 'আমি আসলে শিক্ষকতা পেশা অনেক উপভোগ করি। কিন্তু অভিনয়-নাচও আমার অনেক প্রিয়। তবে নাচে সময় দিতে না পারলেও উৎসব-পার্বণে অভিনয় করা হয়। গেল ঈদেও করেছি। আমার অভিনয় দেখে অনেকে প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন।'
অপি এবার অভিনয়ের পাশাপাশি গানও গেয়েছেন। 'এ শহর মাধবীলতার না' নাটকে ঘটেছে ঘটনাটি। গান গেয়েও বেশ ভালো সাড়া পেয়েছেন। কারণ অপির অভিনয় মানেই হৈচৈয়ের একটা ব্যাপার। আর সেই অপি অভিনয়ের পাশাপাশি গানও গেয়েছেন- নিঃসন্দেহে এটি বাড়তি হৈচৈ তৈরি করবে। হয়েছেও তাই।
অভিনয়ের পাশাপাশি ঈদে অপিকে উপস্থাপনায়ও দেখা গিয়েছে। অবশ্য শোটি আগে থেকেই করতেন তিনি। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে স্পেশাল পর্ব নির্মিত হয়েছে। বলা হচ্ছে জিটিভিতে প্রচারিত 'অপিস গ্লোয়িয় চেয়ার'র কথা।
সবমিলিয়ে ঈদে অপি ভক্তরা বেশ ভালোই বিনোদন পেয়েছেন। আর অপি তার ভক্তদের হৃদয়ের দাবি বোঝেন। তাই তিনি অভিনয় করবেন। তবে নিয়মিত নয় কখনোই। তিনি নিয়মিত থাকছেন শিক্ষকতা পেশাতেই। সেটাই তিনি উপভোগ করছেন। পাশাপাশি সময়-সুযোগ পেলে অভিনয় করবেন। যেমনটি করেছেন এবারের ঈদে। তাই যারা নিয়মিত অপিকে দেখতে চান, তাদের জন্য আনন্দ এটুকুই- জানালায় মাঝে-মধ্যে উঁকি দেওয়ার মতো করে দেখা যাবে অভিনেত্রীর চেহারা। আর এতেই খুশি থাকতে হবে। সঙ্গে অপেক্ষা করতে হবে আগামী কোনো উৎসবের জানালায় অপির মুখ দেখার জন্য।