'কার সাথে পাঁচ বছর প্রেম করলাম সেটাই বুঝলাম না। এতোটা ভালোবেসে যাকে বিয়ে করলাম সেই কিনা এখন অবহেলা করছে। মনে হচ্ছে আমাকে পাওয়ার পর সাগরের চাওয়া শেষ হয়ে গেছে।' বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে নিজের দাম্পত্য অবস্থান সম্পর্কে অনেকটা আক্ষেপ করে এমনটাই বললেন মডেল ও অভিনেত্রী শম্পা।
২০০৭ সালে একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলের রিয়্যালিটি শো'র মাধ্যমে রূপালী জগতে আলোচনায় আসেন সাগর ও শম্পা। এরপর বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র, নাটক ও মিউজিক ভিডিওতে অংশ নেন তারা। এরপর বাধা পড়েন প্রেম-প্রণয়ে। এ ধারাবাহিকতায় গত বছর আগস্টে বিয়ের পীড়িতে বসেন সাগর ও শম্পা। কিন্তু বছর গড়াতে না গড়াতেই বিচ্ছেদের সুর বেজে উঠল তাদের সংসারে। গত ডিসেম্বর থেকে আলাদা থাকছেন তারা। এমনকি সাগরকে পাঠানো হয়েছে ডিভোর্সের নোটিশও।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে শম্পা বলেন, 'নিজেও বিশ্বাস করতে পারছি না তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছি। কারণ তাকে এতটাই ভালোবাসতাম যে কখনও চিন্তা করিনি এরকম ঘটনার মুখোমুখি হব। গত ডিসেম্বরে সাগরকে আইনী নোটিশ পাঠিয়েছি। আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে তার কাছ থেকে সাড়া না পেলে নোটিশটি বিচ্ছেদের পথে এগিয়ে যাবে। তাই অপেক্ষা করছি সাগর কি উত্তর দেয়।'
ডিসেম্বরে পাঠালেন আর এখনও জবাব পাননি, এমন প্রশ্নের উত্তরে শম্পা বলেন, 'আমিও সাগরের কাছে এটা আশা করিনি। এখন মনে হচ্ছে সে নিজেই চাইছিলো সম্পর্কটা এরকম পর্যায়ে গড়াক। তার সঙ্গে মানিয়ে নেবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আচরণ পেয়েছি প্রেমিকের, পাইনি দায়িত্ববোধ একজন স্বামীর। বিয়ের কিছুদিনের মাথায় আমরা যে যার বাড়িতে থাকতে শুরু করি। এমনকি লোক চক্ষুর আড়াল হতে আমি চলে যাই ময়মনসিংহে। শেষ পর্যন্ত সংসারকে আর টিকিয়ে রাখতে পারলাম না।'
শম্পা আরও বলেন, 'ডিসেম্বরে আইনী নোটিশ পাঠালেও অনেকেই জানতেন না। আত্মীয়স্বজনরাও বুঝতে পারেননি আমাদের মাঝে কি হচ্ছে। ওই যে বললাম চেষ্টা করেছি মানিয়ে নিতে। হয়তো পারলাম না। সব মিলিয়ে বিচ্ছেদটা মনে হয় হয়েই যাবে। তবে এতটুকু বলতে পারি সাগরকে এখনও আমি ভালোবাসি।'
সাগর যদি ফের মানিয়ে নিতে চায় তাহলে কি ফিরে যাবেন তার ঘরে? এমনটা জানতে চাইলে শম্পা বলেন, 'এটা মনে হয় আর হবে না। তাছাড়া ওর যদি ইচ্ছা থাকতো তাহলে এতদিন দেরি না করে অন্তত কিছুটা জানাতে পারত। অথচ নোটিশের জবাব না দিয়ে টেলিফোন যোগাযোগও বন্ধ করে দিয়েছে। এবার আপনারাই বলুন সে কি আর ফিরবে।'
এদিকে, বাংলাদেশ প্রতিদিনকে সাগর বলেন, ডিভোর্স লেটার পাওয়ার পর পরই শম্পাকে অনুরোধ করেছি সে যেন এটা প্রত্যাহার করে। কারণ এটি তার পাঠানো নোটিশ। জবাব দেওয়ার কিছু নেই। ইচ্ছে ছিল সে যেন তা প্রত্যাহার করে আমার সঙ্গে সরাসরি কথা বলে। কিন্তু তা আর হয়ে উঠেনি। হয়তো সংসারের এই জীবন যুদ্ধে হেরে গেলাম। তবে শম্পা যদি চায় নোটিশটি প্রত্যাহার করে আমার কাছে আসতে পারে। বাকিটা এখন তার ওপর ছেড়ে দিলাম।
বিডি-প্রতিদিন/২০ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব