সম্প্রতি ক্রিয়েটিভিটি ইন ইনোভেশন নামে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন এ আর রহমান। সেখানে এসে তিনি বলেন, কোনোদিন উপলব্ধি করেননি যে আমি মিউজিকের জন্য জন্মেছি। আমার মা দিশা ঠিক করে দিয়েছিলেন। মা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন মিউজিকে ক্যারিয়ার করতে। মায়ের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে বেছে নিয়েছি সুর, সংগীতের জীবন। এভাবেই নিজের কথা জানালেন এ আর রহমান।
তার কথায়, আমার মা আমার জীবনের দিশা নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন আমি সুরকার হতে পারব। কিন্তু, যেদিন বুঝলাম, আমি একজন সুরকার হতে পারি সে দিন আমার কাছে মিউজিকের কোনো ইনস্ট্রুমেন্ট ছিল না। সে দিনের অবস্থা ও অভিজ্ঞতা ভাগ করে বিশ্ববিখ্যাত এই সুরকার জানিয়েছেন, আমার একটা সাউন্ডপ্রুফ এসি ঘর ছাড়া আর কিছু ছিল না। কিন্তু, আমি বুঝতে পারলাম, সব ধরনের ইনস্ট্রুমেন্ট আমার দরকার। কিন্তু, তখন কিছুই কেনার ক্ষমতা ছিল না।
তবে কীভাবে অদম্য জেদ ও সাহসের সঙ্গে সেসব দিন অতিক্রান্ত করেছেন সে কথা জানিয়েছেন রহমান। তার কথায়, '১৯৮৬ সাল থেকে অন্য সুরকারদের সঙ্গে কাজ করা বন্ধ করি। বুঝতে পারি, নিজেকে কিছু করতে হবে। নিজের খরচে যন্ত্রপাতি কিনে চর্চা করতে হবে। এভাবে আস্তে আস্তে নিজেকে তৈরি করি। আমি মনে করি, যদি কেউ সত্যিই ভালো কাজ করে তাহলে মানুষ তার কাছে আসবেই। নিজের কাজকে প্রমাণ করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার