শিরোনাম
প্রকাশ: ০৯:২৫, মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০১৯ আপডেট:

কপিকল অপারেটর থেকে পপসম্রাট মাইকেল জ্যাকসন

অনলাইন প্রতিবেদক
অনলাইন ভার্সন
কপিকল অপারেটর থেকে পপসম্রাট মাইকেল জ্যাকসন

মাইকেল জ্যাকসনকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে সফল সেলিব্রেটি। পপসাম্রাজ্যের বাদশাহ খ্যাত মাইকেল জ্যাকসন গান, নাচ ও ফ্যাশনে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। আফ্রো-আমেরিকান পরিবারে ১৯৫৮ সালের ২৯ আগস্ট জন্মেছিলেন তিনি। ব্যক্তিজীবনে বিতর্কিত পপসম্রাট বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষাপটে চার দশকেরও বেশি সময় সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বৈশ্বিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন।

১৯৮০-এর দশকে তার জনপ্রিয়তা  আকাশ ছোঁয়া। ২০০৯ সালের ২৫ জুন মৃত্যু বরণ করেন এই পপসম্রাট। মৃত্যুবার্ষিকীতে মাইকেল জ্যাকসনের রহস্যঘেরা জীবন নিয়ে আজকের আয়োজন।

কপিকল অপারেটর থেকে পপসম্রাট

মাইকেল জ্যাকসন। আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা তার। নাচ ও গানের অসাধারণ শৈলী তাকে বিশ্বের শীর্ষ তারকায় পরিণত করে। জো জ্যাকসন ও ক্যাথেরিন জ্যাকসন দম্পতির সপ্তম সন্তান মাইকেল ১৯৫৮ সালের ২৯ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা রাজ্যের গ্যারি নামে এক গ্রামে জম্নগ্রহণ করেন। তার পরিবার ছিল আফ্রো-আমেরিকান। পরিবারের অসচ্ছলতার কারণে মাইকেল জ্যাকসনকে কপিকল অপারেটর হিসেবে কারখানায় কাজ করতে হয়েছে। মাইকেল জ্যাকসন মাত্র পাঁচ বছর বয়সে তার ভাইদের সঙ্গে ‘জ্যাকসন-৫’ মিউজিক্যাল গ্রুপে যোগ দেন। সেখান থেকে প্রথম মিউজিক অ্যালবাম ‘ডায়ানা রোজ’ ১৯৬৯ সালে প্রকাশ হয়। এ অ্যালবামের প্রথম একক গান ‘আই ওয়ান্ট ইউ ব্যাক’ ১৯৭০ সালের জানুয়ারিতে বিলবোর্ডের হট তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে নেয়। মাত্র ১৩ বছর বয়সে এককভাবে মাইকেল জ্যাকসনের ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৭২ সালে তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘বেন’ প্রকাশিত হয়। এরপর ১৯৭৯ সালে তার পরবর্তী অ্যালবাম বের হয়। এ অ্যালবামের নাম ছিল ‘অফ দ্য ওয়াল’। এর ‘ডোন্ট স্টপ টিল ইউ গেট অ্যানাফ’ ও ‘রকিং উইথ ইউ’ গান দুটির মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়তা পান তিনি। মাইকেলের সবচেয়ে বিক্রীত অ্যালবামের মধ্যে রয়েছে ‘অফ দ্য ওয়াল’, ‘থ্রিলার’, ‘ব্যাড’, ‘ডেঞ্জারাস’ এবং ‘হিস্ট্রি’। এর মধ্যে ‘থ্রিলার’  সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া অ্যালবাম। মাইকেল জ্যাকসনের গানের ভিডিওগুলো বিশ্ববাসীকে মন্ত্রমুগ্ধ করে। ‘বিট ইট’ গানটি প্রচার করে শিরোনামে আসে এমটিভির নাম। অনেকেই হয়তো জানেন না, মাইকেল জ্যাকসনের এই একটি গানকে পুঁজি করে এমটিভির উত্থান ঘটে। ১৯৯৪ সালের আগস্টে এলভিস প্রিসলির কন্যা লিসা মেরি প্রিসলিকে বিয়ে করেন মাইকেল জ্যাকসন। ১৯৯৬ সালেই তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর মাইকেল জ্যাকসন ডিবোরাহ নামে এক নার্সকে বিয়ে করেন। কৃত্রিম উপায়ে তাদের দুটি সন্তান হয়। এর মধ্যে ১৯৯৭ সালে ছেলে প্রিন্স মাইকেল জ্যাকসন এবং ১৯৯৮ সালে মেয়ে প্যারিস মাইকেল জ্যাকসনের জম্ন হয়। ১৯৯৯ সালে ডিবোরাহর সঙ্গেও মাইকেল জ্যাকসনের ডিভোর্স হয়ে যায়। প্যারিস, প্রিন্স ও জ্যাকসন জুনিয়র, মাইকেলের তিন সন্তান। মাত্র ৫০ বছর বয়সে ওষুধের বিষক্রিয়ায় তিনি পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। মৃত্যুর আগে দুই দশক ধরেই পপসংগীত, বিনোদন আর মাইকেল জ্যাকসন ছিলেন প্রায় সমার্থক।

১৫০ বছর বাঁচার কৌশল

ব্যাড অ্যালবামটি হিট হওয়া পর টাকা আর খ্যাতি এই দুইয়ের কোনো অভাব হয়নি মাইকেলের। সুন্দর এই পৃথিবীর মায়া তারও ছিল। তাই অমর হওয়ার রাস্তা খুঁজছিলেন তিনি। এ জন্য বিশ্বের সর্বোচ্চ চিকিৎসাবিজ্ঞানের নাগাল পাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। নিজের ক্লোন তৈরি করে অমর হতে চেয়েছিলেন মাইকেল জ্যাকসন। মৃত্যুর আগে এর জন্য তিনি লাখ লাখ ডলার ব্যয়ও করেছেন। তার জীবনী লেখক মাইকেল সি লাকম্যান এক সাক্ষাৎকারে সাড়া জাগানো এ তথ্য দেন। জ্যাকসন তার ক্লোন নিয়ে গবেষণার জন্য ইউরোপীয় বিজ্ঞানীদের লাখ লাখ ডলার দিয়েছিলেন। তার ইচ্ছা ছিল এ ক্লোন থেকে একটি ক্ষুদে জ্যাকসন দলের সৃষ্টি হবে এবং তারাও একদিন তার মতো দুনিয়া মাতাবে। পানামাভিত্তিক একটি আয়ুষ্কাল কেন্দ্রে মাইকেল জ্যাকসন একটি ‘গোপন শুক্রানু প্রকল্প’ গড়ে তুলেছিলেন বলে দাবি করা হয়। আর এই ইচ্ছার পেছনে কাজ করেছিল ক্লোনিংয়ে সাফল্য। বিজ্ঞানীরা ভেড়ার ক্লোন থেকে সফলভাবে ‘ডলি’র জম্ন দেওয়ার পর নিজের ক্লোনিং নিয়ে আশাবাদী হয়ে ওঠেন জ্যাকসন। মাইকেল বিশ্বাস করতেন এক সময় তার ক্লোনিং সম্ভব হবে এবং এর পেছনে তিনি যে টাকা-পয়সা ব্যয় করছেন তাও সার্থক হবে। শুধু ক্লোনিং নয়। কমপক্ষে ১৫০ বছর বেঁচে থাকার জন্য তৈরি করেছিলেন অক্সিজেন চেম্বার। সেখানেই ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে চেয়েছেন। সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু পাওয়ার জন্য তিনি এ পন্থা বেছে নিয়েছিলেন। একবার তিনি দাবি করেছিলেন, অক্সিজেন চেম্বারে ঘুমানোর জন্য অন্তত ১৫০ বছর বাঁচবেন তিনি।

সারা রাত না ঘুমিয়ে কাঁদতেন

সেলিব্রেটি মাইকেল জ্যাকসনকে সবাই চেনেন। কিন্তু ব্যক্তি মাইকেল জ্যাকসনকে অনেকেই চিনতেন না। সেটা সম্ভবও ছিল না। মাইকেল মারা যাওয়ার পর তাকে নিয়ে নানা নতুন নতুন তথ্য ফাঁস করে তার বাড়ির গৃহপরিচালিকা, স্বজন ও বন্ধুরা। এই তথ্যগুলোর কোনোটি বিস্মিত করেছে, কোনোটি বিষাদে মন পুড়িয়েছে ভক্তদের। মাইকেল ব্যক্তি জীবনে খুবই নিঃসঙ্গ ছিলেন। খুব বেশি মানুষের সঙ্গে মিশতেন না। কেউই পূর্বানুমতি ছাড়া তার বাড়িতে ঢুকতে পারত না। খুবই এলোমেলো জীবনযাপনে অভ্যস্থ ছিলেন তিনি। ঠিকমতো খেতেন না। ঘুম তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল। সারা রাত মাদকে আসক্ত থাকতেন। কড়া ঘুমের ওষুধেও তার ঘুম আসত না। যে কারণে ঘুমের ওষুধে আসক্ত হতে শুরু করেন। এই অসহনীয় জীবন আরও কষ্টকর ছিল শিশুদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে প্রমাণ মেলার পর। রাতে না ঘুমিয়ে ঘর ছেড়ে বাড়ির বারান্দায় শুয়ে কাঁদতেন।

অন্যচোখে জ্যাকসন

>> গানের মানুষ হলেও স্পাইডারম্যান চরিত্রে অভিনয় করতে আগ্রহ ছিল জ্যাকসনের। এমনকি ১৯৯০ সালে মারভেল কমিকসের এ চরিত্রটির স্বত্ব কিনে নিতে চেয়েছিলেন তিনি।

>> জীবদ্দশায় নিজের অর্থায়নে লিউকেমিয়া এবং ক্যান্সার ইনস্টিটিউট স্থাপন করেন মাইকেল জ্যাকসন। শিশুদের জন্য এবং দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের জন্য তিনি কোটি কোটি ডলার দান করে গেছেন। ১৯৯৬ সালে তার আয়ের অর্থ দিয়ে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়।

>> মাদাম তুসো জাদুঘরে মাইকেল জ্যাকসনের মোমের মূর্তি ও অন্যান্য জিনিসপত্রের প্রদর্শনী হয়। এর মাধ্যমে তার শৈশব থেকে শুরু করে জ্যাকসন ফাইভ ব্যান্ডের সাফল্য ও তার মৃত্যু সম্পর্কে ধারণা পান দর্শনার্থীরা। জ্যাকসন মারা যাওয়ার পর ভক্তদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে তার পোস্টার, স্থিরচিত্র বা অটোগ্রাফ সংবলিত টি-শার্ট, মগ প্রভৃতি।

>> মৃত্যুর পর জ্যাকসনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে কম্পিউটার গেম, এর নাম ‘মাইকেল জ্যাকসনস মুনওয়াকার’। এতে জ্যাকসনের বিখ্যাত নাচের মুদ্রার সঙ্গে আছে রোমাঞ্চকর মারামারি।

অমীমাংসিত মৃত্যুরহস্য

কিং অব পপ নামে দুনিয়াজুড়ে পরিচিত লাভ করা মার্কিন সংগীত শিল্পী মাইকেল জ্যাকসনের আচমকা মৃত্যুর জন্য দীর্ঘ মেয়াদে পেইন কিলার সেবনকে দায়ী করা হয়। কিন্তু এ নিয়ে বিতর্ক বোধ হয় কোনো দিনই শেষ হবে না। শুরুতে জানানো হয়েছিল তার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটেছে। তখন হুট করেই বোম ফাটায় দ্য সান পত্রিকা। তাদের এক খবরে বলা হয়, ডেমারোল নামের একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যথানাশক ইনজেকশন নেওয়ার কারণেই জ্যাকসনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। ডেমারোল নেওয়ার পর থেকেই জ্যাকসনের শ্বাস-প্রশ্বাস ধীর হতে শুরু করে। এক পর্যায়ে এসে তা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। দুপুরের দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া ও মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ার সময়টিতে মাইকেল জ্যাকসনের সঙ্গে ছিলেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক কনরাড মুরে। রহস্য ঘনীভূত হয় যখন দেখা গেল, মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুর সময়টিতে মুরে উপস্থিত থাকলেও ডেথ সার্টিফিকেটে তিনি স্বাক্ষর করেননি। তাকে ঘিরে একাধিক প্রশ্ন ওঠে। বিশেষ করে সবাই জানতে চাইল, তিনি কি ডেমারোল ড্রাগসটি ব্যবহার করেছিলেন? ডেমারোল ড্রাগসটি কি দুইবার দেওয়া হয়েছিল? এর পরপরই লস অ্যাঞ্জেলেসের করোনার কার্যালয় মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে ঘোষণা দিয়ে বসে। মাইকেলের অস্বাভাবিক মৃত্যু তদন্তে নিয়োজিত করোনার কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মাইকেল মারা যাওয়ার সময় তার শরীরে ছয় ধরনের মাদকের ভয়াবহ মিশ্রণের জের ছিল। একে একে বেরিয়ে আসে প্রোপফল ছাড়াও জ্যাকসনের শরীরে ব্যথানাশক লোরাজিপাম, মিডাজোলাম, ডায়াজিপাম, লিডোকেইন এবং এফিড্রিন পাওয়া গেছে। মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুর জন্য তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক কনরাড মুরকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। পপস্টারের মৃত্যুর জন্য অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও তার গাফিলতিই দায়ী বলে লস এঞ্জেলেসের আদালত রায় দেয়। যদিও মুরের আইনজীবীরা দাবি করেন, জ্যাকসন স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত মাত্রায় ওই ওষুধটি নিয়েছিলেন। তবে কি এটি হত্যা, নাকি আত্মহত্যা হিসাব কষে দুইয়ে দুইয়ে চার আজও মিলেনি। 

বিতর্কে মোড়ানো খ্যাতি

শিশু যৌন নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। যৌন হয়রানির অভিযোগে ২০০৫ সালে আদালতের কাঠগড়ায়ও দাঁড়াতে হয়েছিল এই সংগীত শিল্পীকে। মাইকেলের এ যৌন নির্যাতনের বিষয়টি মূলত আরও খোলাসা হয় তার কন্যা প্যারিসের আÍহত্যার চেষ্টার পর। এফবিআই যে তালিকা দিয়েছে সেখানেও অভিযোগের সত্যতার দেখা মেলে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই জ্যাকসন সম্পর্কে স্পর্শকাতর গোপন ফাইল প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশুদের প্রতি যৌনাসক্ত ছিলেন মাইকেল জ্যাকসন। জীবদ্দশায় অন্তত ২৪ জন বালককে যৌন হয়রানি করেছেন তিনি। আর এতে তিনি ব্যয় করেছেন ৩ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। প্রায় ১৫ বছর ধরে তিনি এ কর্মে লিপ্ত ছিলেন। এই ফাইলগুলোতে মাইকেল জ্যাকসনকে ‘পেডোফিল’ বা শিশুদের প্রতি যৌনাসক্ত বলে দাবি করা হয়েছে। মাইকেলের যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অভিনেতা, ডান্সারসহ আরও অনেকেই। অনেকে আবার মান সম্মানের ভয়ে খবরটা চেপেছিলেন। মৃত্যুর পরও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি তাকে। তার মৃত্যুর পর জ্যাকসনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন তার সাবেক কোরিওগ্রাফার ওয়েড রবসন। রবসন ২০১৩ সালে মাইকেলের বিরুদ্ধে দীর্ঘ গত সাত বছর ধরে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেন। তবে অবশেষে আদালত মাইকেলকে নির্দোষ বলে রায় দেয়। ২০০৫ সালে গ্যাভিন আরভিজো নামে এক ১৩ বছরের কিশোর মাইকেল জ্যাকসনের বিরুদ্ধে শিশু হয়রানির অভিযোগ করে মামলা করে। সেটাতেও জ্যাকসন নির্দোষ প্রমাণিত হন। মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুর পাঁচ বছর পর আবারও তার বিরুদ্ধে শিশু হয়রানির অভিযোগ আনা হয়। জেমস সেফচাক নামে এক ব্যক্তির দাবি করেন, শৈশবে এই পপশিল্পীর যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন তিনি।

কোটি ডলারে প্লাস্টিক সার্জারি

সঙ্গী হিসেবে সুন্দরী আর ফর্সা মেয়েদেরই বেশি প্রাধান্য দিতেন জ্যাকসন। কৃষ্ণাঙ্গ বলে সমাজে নিচু চোখে দেখছে সবাই- এই মনোস্তাত্ত্বিক টানাপড়েনে প্লাস্টিক সার্জারি করে নিজেকে ফর্সা করে তোলেন। নিজের চেহারার কৃষ্ণাঙ্গ থেকে শ্বেতাঙ্গে রংবদল নিয়ে অনেক সমালোচনা সহ্য করতে হয় তাকে। ১৯৭৯ সালে মাইকেল জ্যাকসন তার প্রথম কসমেটিক অপারেশনটি করান। এবং তার পরপরই একটি অ্যাক্সিডেন্টে তার নাক ভেঙে যায়। তিনি ত্বকের সমস্যায়ও ভুগছিলেন। প্রায়ই তাকে মুখোশ পরা অবস্থায় দেখা যেত, ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে। যদিও তিনি দাবি করেন, আসলে চর্মরোগের কারণে তিনি প্লাস্টিক সার্জারি করাতে বাধ্য হয়েছিলেন।

ঘুরে বেড়াচ্ছে জ্যাকসনের ভূত

মাইকেলের আত্মা ঘুরে বেড়াচ্ছে তার বাড়ি নেভারল্যান্ড র‌্যাঞ্চে। না কোনো কল্পনা নয়, এ দাবি বাড়ির গৃহপরিচারিকা থেকে শুরু করে বাড়িতে আনাগোনা আছে এমন সবারই।  মাইকেলের মৃত্যুর পর বাড়িটির নিলাম নিয়ে বেঁধে যায় এক অদ্ভুত ঘটনা। মাইকেল জ্যাকসনের সম্পত্তি কিনতে আগ্রহী ব্যক্তিরা কিনতে গিয়েও ফিরে আসতে থাকে। কারণ আর কিছুই নয় ভূতের ভয়। এক মার্কিন শিল্পপতি প্রায় কিনেই ফেলেছিলেন বাড়িটি। কিন্তু এলাকার স্থানীয় মানুষদের কথা শুনে পিছিয়ে আসেন সেই শিল্পপতি।

স্থানীয় মানুষজন জানায়, নেভারল্যান্ড র‌্যাঞ্চে এখনো মাইকেল জ্যাকসানের আত্মা ঘুরে বেড়ায়। মাইকেল জ্যাকসনের বাড়ির উল্টো দিকে বাস করা এক ব্যক্তি জানায়, মৃত্যুর পরেও মাইকেল এখনো ওই বাড়িতে ভূত হয়ে ঘোরে। মাঝে-মাঝেই রাতে নাকি জ্যাকসনের ঘর থেকে অদ্ভুত আওয়াজ আসে।

এক মার্কিন ওয়েবসাইট জানিয়েছে, সিসি টিভি ফুটেজে নাকি মৃত্যুর পরেও মাইকেল জ্যাকসনের ছায়া দেখা গেছে। ১৯৯৮ সালে বাড়িটি কিনেছিলেন মাইকেল জ্যাকসন।

এখনো  জীবিত আছেন!

মাইকেল ভক্তদের বিশ্বাস এখনো বেঁচে আছেন তিনি। খ্যাতি আর সাফল্যের মায়াজালে তিনি নিঃসঙ্গ অনুভব করছেন বলেই এ জীবন থেকে পালিয়ে গেছেন। ছদ্মবেশে ঘুরছেন দেশ থেকে দেশে। এগুলো মোটেই বানানো কথা নয়। বিশ্বের অধিকাংশ মাইকেল ভক্তের মতে তিনি এখনো বেঁচে আছেন। শুধু লোকচোখের অন্তরালে যেতেই তার মৃত্যুর খবর ও ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। অনেকে তো দাবি করেই বসেছেন, তিনি মৃত্যুর পরও কোথায়, কবে উপস্থিত ছিলেন। এমন প্রমাণও কম নয় অন্তর্জালে। আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় সুস্থ ও নির্ভেজাল একটা জীবনযাপন করছেন। এমন কিছু খবর মাইকেলের মৃত্যুর পর থেকেই নিয়মিত সময় ব্যবধানে বোমা ফাটিয়ে আসছে পশ্চিমা ইন্টারনেট সংস্কৃতিগুলো। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ কিংবা মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় তোলা ঝাপসা ছবির নানা প্রমাণ তুলে ধরার চেষ্টাটা দেখা গেছে উলে­খযোগ্য পরিমাণে। মাইকেলের পুরো জীবনটাই যেমন গেছে হাজারও কানাঘুষা আর গুঞ্জনকে ঘিরে। মরার পরও সেই গুঞ্জনের হাত থেকে নিষ্কৃতি মেলেনি তার। তবে এসব গুঞ্জনের মিলিত রূপ এবার দেখা দিল আরও বড় আকারে। মাইকেলের মৃত্যুর পর মুক্তিপ্রাপ্ত অ্যালবামের বিক্রয়ের শীর্ষ থাকা আর বছরজুড়ে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের লাভের অঙ্কে চোখ কপালে উঠেছে সবারই। মৃত্যুর পরও বাজার থেকে মাইকেল জ্বর থেকে সেরে ওঠার নাম নেই। আর এসব তথ্য-উপাত্ত মিলিয়ে আকাশে-বাতাসে উঠেছে নতুন শহুরে উপকথা মাইকেল নাকি মরেইনি। দিব্যি নাকি বেঁচে আছেন। সেই গুজবের প্রবলতা এতটাই বিশাল যে যুক্তরাজ্যের মিরর ম্যাগাজিনের বিষয় হয়ে উঠেছে। শহুরে মানুষের সৃষ্টি করা অদ্ভুতুড়ে সব বিতর্কিত বিষয়ের গল্পে ফেদে আজগুবি বাস্তবতা প্রণয়নের যে ধারা তার হাত ধরেই তুলে আনা হয়েছে মাইকেলের সাম্প্রতিক গুজবের বিষয়টিও। মিররের প্রতিবেদনে মাইকেলের বেঁচে থাকার গুঞ্জনটিকে অনেকটা দাবি করা হয় সাদ্দামের অমরত্বের রহস্যের সঙ্গে। আমেরিকান বাহিনীর হাতে নিহত হওয়ার পরও নাগরিক গুঞ্জনের দাবি, সাদ্দাম নাকি দিব্যি বেঁচে বর্তে আছেন পরিচয় আর চেহারা লুকিয়ে। একই ধরনের গুজব উঠেছে মধ্যপ্রাচীয় আরেক পরাশক্তি ওসামা বিন লাদেনকে নিয়েও। শুধু রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়েই যে এসব গুঞ্জন তৈরি হয়, তা নয়। ১৯৭৭ সালে পরলোকগমনকারী পপ কিংবদন্তি এলভিস প্রিসলিও একই ধাঁচের গুঞ্জনের শিকার। মাইকেলের ক্ষেত্রেও বিশ্বাসীর জোর দাবি- মাইকেলের মৃত্যুটা নাকি স্রেফ ধাপ্পাবাজি। বিশ্বাস না হলে : ইন্টারনেটে একটু ঢুঁ মেরেই দেখুন!

মৃত্যুর পরেও ধনী

 পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে এ পর্যন্ত আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬০০ মিলিয়নে। এটি জ্যাকসনের রেকর্ড পরিমাণ আয় করা ‘থ্রিলার’ অ্যালবামের চেয়েও বেশি। ৬০০ মিলিয়নের বিশাল এই অর্থ মূলত টিকিট বিক্রি থেকে এসেছে। ২০০৯ এর জুনে মৃত্যুর পর অর্জিত হয়েছে এ অর্থ। ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউকের মতে, জীবিত যে কোনো শিল্পীর একই সময়ের আয়ের চেয়ে এটি অনেক বেশি। মাইকেল জ্যাকসনকে নিয়ে নির্মিত ‘মাইকেল জ্যাকসনস ওয়ান’ এবং কনসার্ট পারফরমেন্স নিয়ে নির্মিত ‘দিস ইজ ইট’ ছবির টিকিট বিক্রি থেকে এসেছে বেশ বড় রকমের অর্থ। ইউএস ডকুমেন্টারি অনুসারে ‘মাইকেল জ্যাকসনস সিক্সটি মিনিটস’ বিশ্বব্যাপী ৩০০ মিলিয়নের বেশি আয় করেছে। আইটিউনসে এখনো সবচেয়ে বেশি অ্যালবাম বিক্রি হচ্ছে জ্যাকসনের। তার মৃত্যুর পর থেকে প্রায় ৫০ মিলিয়ন কপি অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে এ পর্যন্ত। সব মিলিয়ে মৃত্যুর পরও দিন দিন ধনী হচ্ছেন মাইকেল জ্যাকসন। এ ছাড়া ইতিমধ্যে যারা পরলোক গমন করেছেন এমন তারকাদের মধ্যে আয়ে শীর্ষে উঠে এসেছেন পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসন। ফোর্বসের ২০১৫ সালের জরিপে এ তথ্য উঠে আসে। চলতি বছর তার আয় দাঁড়িয়েছে ১১.৫ কোটি ডলারে। এর ফলে তার সামষ্টিক আয় দাঁড়াল ১০০ কোটি ডলারের বেশি। ২০০৯ সালে পরলোকগমন করেন পপসম্রাট জ্যাকসন। ফোর্বসের তালিকায়, দ্বিতীয় স্থানে আছেন এলভিস প্রিসলি। গত এক বছরে তার আয় ৫ কোটি ডলার। ১৯৭৭ সালের আগস্টে মারা যান তিনি।

তালিকায় থাকা বাকিরা হলেন জ্যামেইকান রাগ শিল্পী, গিটার বাদক, গীতিকার বব মার্লে, মেরিলিন মনরো। আর তরুণদের মধ্য আছেন তালিকায় আছেন ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াসের প্রয়াত অভিনেতা পল ওয়াকার।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর
মেট গালায় বেবি বাম্প নিয়ে নজর কাড়লেন কিয়ারা
মেট গালায় বেবি বাম্প নিয়ে নজর কাড়লেন কিয়ারা
‘দাদাসাহেব ফালকে’ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা অভিনেত্রী রুক্মিণী
‘দাদাসাহেব ফালকে’ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা অভিনেত্রী রুক্মিণী
সেটে নায়িকার চড়, ৩ বছর পর প্রতিশোধ নেন ঋষি কাপুর
সেটে নায়িকার চড়, ৩ বছর পর প্রতিশোধ নেন ঋষি কাপুর
সম্প্রতি সফল হয়নি সিনেমা, তবে চেষ্টা চালাচ্ছেন ঋত্বিকা
সম্প্রতি সফল হয়নি সিনেমা, তবে চেষ্টা চালাচ্ছেন ঋত্বিকা
মেট গালায় নজর কাড়লেন প্রিয়াঙ্কা-নিক
মেট গালায় নজর কাড়লেন প্রিয়াঙ্কা-নিক
মেট গালায় ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ খান
মেট গালায় ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ খান
তামিম স্টাইলে চার-ছক্কা হাঁকালেন নায়ক বাপ্পী
তামিম স্টাইলে চার-ছক্কা হাঁকালেন নায়ক বাপ্পী
সালমার কণ্ঠে শাহ আবদুল করিমের গান
সালমার কণ্ঠে শাহ আবদুল করিমের গান
যে কারণে শাহিদ কাপুরকে বিয়ের আগে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিলিট করেছিলেন মীরা!
যে কারণে শাহিদ কাপুরকে বিয়ের আগে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিলিট করেছিলেন মীরা!
৬ মে, মঙ্গলবার বৈশাখীতে যা যা থাকছে
৬ মে, মঙ্গলবার বৈশাখীতে যা যা থাকছে
তারকাদের নিয়ে সেলিব্রিটি ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু
তারকাদের নিয়ে সেলিব্রিটি ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু
ছবিতে কোহলির লাইক দেওয়া নিয়ে আলোচনা, কে এই অভিনেত্রী?
ছবিতে কোহলির লাইক দেওয়া নিয়ে আলোচনা, কে এই অভিনেত্রী?
সর্বশেষ খবর
লাওস সীমান্তে সংঘর্ষ, থাইল্যান্ডে পর্যটন স্পট বন্ধ
লাওস সীমান্তে সংঘর্ষ, থাইল্যান্ডে পর্যটন স্পট বন্ধ

৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাজ্যে ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি, নজরে পাকিস্তানসহ একাধিক দেশ
যুক্তরাজ্যে ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি, নজরে পাকিস্তানসহ একাধিক দেশ

২৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৭ মে)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৭ মে)

৩০ মিনিট আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-সৌদি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা: প্রথম যৌথ কমিটির সভা ঢাকায় অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ-সৌদি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা: প্রথম যৌথ কমিটির সভা ঢাকায় অনুষ্ঠিত

৫২ মিনিট আগে | জাতীয়

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৬ বছর বয়সী ‘বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর’ সেই মেয়ের বয়স এখন ২৪, তবে...
৬ বছর বয়সী ‘বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর’ সেই মেয়ের বয়স এখন ২৪, তবে...

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

দুই দিনের বৃষ্টিতে গুজরাটে ১৪ জনের মৃত্যু, আহত ১৬
দুই দিনের বৃষ্টিতে গুজরাটে ১৪ জনের মৃত্যু, আহত ১৬

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের কমিটি বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগ
বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের কমিটি বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জামালপুরে পিপির অপসারণ দাবি আইনজীবীদের
জামালপুরে পিপির অপসারণ দাবি আইনজীবীদের

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধর্ষণের অভিযোগে ভারতীয় ক্রিকেটার গ্রেফতার
ধর্ষণের অভিযোগে ভারতীয় ক্রিকেটার গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সকালে পরাজয়, বিকালে জয়ী জার্মানির চ্যান্সেলর মেৎস
সকালে পরাজয়, বিকালে জয়ী জার্মানির চ্যান্সেলর মেৎস

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে গেলেন ডা. জোবাইদা রহমান
মাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে গেলেন ডা. জোবাইদা রহমান

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সুন্দরী ফুলে ছেয়ে গেছে সুন্দরবন
সুন্দরী ফুলে ছেয়ে গেছে সুন্দরবন

৪ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

বিয়ের কেনাকাটা করতে গিয়ে প্রাণ গেল বরের
বিয়ের কেনাকাটা করতে গিয়ে প্রাণ গেল বরের

৪ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ফিফার অনুমোদন, বাংলাদেশের হয়ে খেলতে বাধা নেই সামিতের
ফিফার অনুমোদন, বাংলাদেশের হয়ে খেলতে বাধা নেই সামিতের

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুবককে পিটিয়ে হত্যা : ছাত্র সমন্বয়কসহ ৩ জন কারাগারে
যুবককে পিটিয়ে হত্যা : ছাত্র সমন্বয়কসহ ৩ জন কারাগারে

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিগত সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে: হাবিবুর রহমান হাবিব
বিগত সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে: হাবিবুর রহমান হাবিব

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিলেন সাবেক এমপি
ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিলেন সাবেক এমপি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজও শুনানিতে হাজির হননি ঢামেকের ২ চিকিৎসক, গ্রেফতারি পরোয়ানা
আজও শুনানিতে হাজির হননি ঢামেকের ২ চিকিৎসক, গ্রেফতারি পরোয়ানা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কানাডা থেকে আলাদা হতে চায় আলবার্টা!
কানাডা থেকে আলাদা হতে চায় আলবার্টা!

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন করে যেন রোহিঙ্গা না আসে সেই চেষ্টা করছি : খলিলুর রহমান
নতুন করে যেন রোহিঙ্গা না আসে সেই চেষ্টা করছি : খলিলুর রহমান

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ৬০
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ৬০

৪ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

৭ দিনের মধ্যে মহাসড়কে থ্রি-হুইলার বন্ধ না হলে রংপুরে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি
৭ দিনের মধ্যে মহাসড়কে থ্রি-হুইলার বন্ধ না হলে রংপুরে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিপির রাজনৈতিক লিয়াজোঁ কমিটি গঠন
এনসিপির রাজনৈতিক লিয়াজোঁ কমিটি গঠন

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হেডের বিজ্ঞাপনে বেঙ্গালুরুর অবমাননার মামলা খারিজ
হেডের বিজ্ঞাপনে বেঙ্গালুরুর অবমাননার মামলা খারিজ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চার দফা দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
চার দফা দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উল্টো পথে চলাচলে ডিএমপির দেড় শতাধিক মামলা
উল্টো পথে চলাচলে ডিএমপির দেড় শতাধিক মামলা

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানে বিস্ফোরণ, ৭ সেনা নিহত
ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানে বিস্ফোরণ, ৭ সেনা নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিনদুপুরে প্রাইভেটকার দিয়ে অটোরিকশার পথরোধ করে ছিনতাই
দিনদুপুরে প্রাইভেটকার দিয়ে অটোরিকশার পথরোধ করে ছিনতাই

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজীপুরে ট্রাকচাপায় নারী নিহত
গাজীপুরে ট্রাকচাপায় নারী নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ঈদুল আজহায় ছুটি ১০ দিন: প্রেস সচিব
ঈদুল আজহায় ছুটি ১০ দিন: প্রেস সচিব

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সঞ্চয়পত্র কিনতে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থাকছে না
সঞ্চয়পত্র কিনতে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থাকছে না

১০ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন জোবাইদা রহমান, থাকবেন ‘মাহবুব ভবনে’
১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন জোবাইদা রহমান, থাকবেন ‘মাহবুব ভবনে’

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুলশানের বাসভবনে খালেদা জিয়া
গুলশানের বাসভবনে খালেদা জিয়া

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

থানকুনি পাতার উপকারিতা
থানকুনি পাতার উপকারিতা

১৭ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

‘যে কোনো সময় হামলা চালাবে ভারত, পাল্টা প্রতিঘাতে প্রস্তুত পাকিস্তান’
‘যে কোনো সময় হামলা চালাবে ভারত, পাল্টা প্রতিঘাতে প্রস্তুত পাকিস্তান’

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একদিনে চার দেশে হামলা চালাল ইসরায়েল
একদিনে চার দেশে হামলা চালাল ইসরায়েল

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে ফিরলেন বেগম খালেদা জিয়া
দেশে ফিরলেন বেগম খালেদা জিয়া

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস ইয়েমেনের সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস ইয়েমেনের সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ফিরোজা’র নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, সামনে নেতাকর্মীদের ঢল
‘ফিরোজা’র নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, সামনে নেতাকর্মীদের ঢল

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি, কুয়েত ও জর্ডানে ভয়াবহ ধূলিঝড়
সৌদি, কুয়েত ও জর্ডানে ভয়াবহ ধূলিঝড়

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুহুর্মুহু ড্রোন হামলার পর মস্কোর সব বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা
মুহুর্মুহু ড্রোন হামলার পর মস্কোর সব বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হঠাৎ আইএসআই সদরদপ্তরে তিন বাহিনীর প্রধানের সাথে শাহবাজ, যুদ্ধের প্রস্তুতি?
হঠাৎ আইএসআই সদরদপ্তরে তিন বাহিনীর প্রধানের সাথে শাহবাজ, যুদ্ধের প্রস্তুতি?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দোহা থেকে ঢাকার পথে খালেদা জিয়া
দোহা থেকে ঢাকার পথে খালেদা জিয়া

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এ টি এম আজহারের জন্য দোয়া চাইলেন জামায়াত আমির
এ টি এম আজহারের জন্য দোয়া চাইলেন জামায়াত আমির

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উপদেষ্টা পরিষদের সভায় প্রধান উপদেষ্টা
উপদেষ্টা পরিষদের সভায় প্রধান উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইপিএল প্লে-অফে যেতে কার কী সমীকরণ?
আইপিএল প্লে-অফে যেতে কার কী সমীকরণ?

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রমিকের ৮০০ কোটি টাকা স্বপনের পেটে
শ্রমিকের ৮০০ কোটি টাকা স্বপনের পেটে

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবেগাপ্লুত নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত খালেদা জিয়া
আবেগাপ্লুত নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত খালেদা জিয়া

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধের আশঙ্কায় যুবকদের ট্রেনিং দিচ্ছে ভারত
যুদ্ধের আশঙ্কায় যুবকদের ট্রেনিং দিচ্ছে ভারত

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইয়েমেনে হামলা; আমেরিকা-ইসরায়েলকে কঠিন জবাবের হুঁশিয়ারি আনসারুল্লাহ’র
ইয়েমেনে হামলা; আমেরিকা-ইসরায়েলকে কঠিন জবাবের হুঁশিয়ারি আনসারুল্লাহ’র

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্থায়ীভাবে পুরো গাজা দখলের দিকে এগোচ্ছে ইসরায়েল?
স্থায়ীভাবে পুরো গাজা দখলের দিকে এগোচ্ছে ইসরায়েল?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভিসা পেতে জাল নথিপত্র না দেওয়ার আহ্বান সুইডিশ দূতাবাসের
ভিসা পেতে জাল নথিপত্র না দেওয়ার আহ্বান সুইডিশ দূতাবাসের

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৭ বছর পর দেশে ফিরলেন ডা. জোবাইদা রহমান
১৭ বছর পর দেশে ফিরলেন ডা. জোবাইদা রহমান

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তান উপকূলে ভারতীয় গুপ্তচর-বিমান শনাক্তের দাবি
পাকিস্তান উপকূলে ভারতীয় গুপ্তচর-বিমান শনাক্তের দাবি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানে বিস্ফোরণ, ৭ সেনা নিহত
ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানে বিস্ফোরণ, ৭ সেনা নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ খালেদা জিয়ার
কাতার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ খালেদা জিয়ার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়লে অভিবাসীদের ভাতা দেবে ট্রাম্প প্রশাসন
স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়লে অভিবাসীদের ভাতা দেবে ট্রাম্প প্রশাসন

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলামের দৃষ্টিতে শাম অঞ্চলের ভৌগোলিক গুরুত্ব
ইসলামের দৃষ্টিতে শাম অঞ্চলের ভৌগোলিক গুরুত্ব

১৯ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রাজধানীতে সাবেক এমপিসহ ৯ জন গ্রেফতার
রাজধানীতে সাবেক এমপিসহ ৯ জন গ্রেফতার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভারতজুড়ে আজ বেজে উঠবে যুদ্ধের সাইরেন
ভারতজুড়ে আজ বেজে উঠবে যুদ্ধের সাইরেন

প্রথম পৃষ্ঠা

বেগম জিয়া যেন আদর্শের বাতিঘর
বেগম জিয়া যেন আদর্শের বাতিঘর

প্রথম পৃষ্ঠা

রেমিট্যান্স ছাড়া কোনো সুখবর নেই
রেমিট্যান্স ছাড়া কোনো সুখবর নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরা যার সঙ্গে ইচ্ছা দেখা করব
আমরা যার সঙ্গে ইচ্ছা দেখা করব

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

কানাডার সামিতও বাংলাদেশের
কানাডার সামিতও বাংলাদেশের

প্রথম পৃষ্ঠা

সংবিধান সংশোধনে গণভোট
সংবিধান সংশোধনে গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরলে ১ হাজার ডলার, ফ্রি টিকিট
স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরলে ১ হাজার ডলার, ফ্রি টিকিট

প্রথম পৃষ্ঠা

তারুণ্যের সমাবেশ ঘিরে উৎসবের আমেজ
তারুণ্যের সমাবেশ ঘিরে উৎসবের আমেজ

নগর জীবন

জনস্রোতে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা
জনস্রোতে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা

প্রথম পৃষ্ঠা

গান গেয়ে পরিচয় হওয়ার ছবি ‘অবুঝ মন’ : শাবানা
গান গেয়ে পরিচয় হওয়ার ছবি ‘অবুঝ মন’ : শাবানা

শোবিজ

তরুণদের আরও বেশি রাজনীতিতে অংশগ্রহণ জরুরি
তরুণদের আরও বেশি রাজনীতিতে অংশগ্রহণ জরুরি

প্রথম পৃষ্ঠা

দুই বক্তার শব্দচয়ন নিয়ে দুঃখ প্রকাশ হেফাজতের
দুই বক্তার শব্দচয়ন নিয়ে দুঃখ প্রকাশ হেফাজতের

প্রথম পৃষ্ঠা

কোরবানির ঈদে ১০ দিনের ছুটি
কোরবানির ঈদে ১০ দিনের ছুটি

প্রথম পৃষ্ঠা

কৃষ্ণচূড়ার রঙে রঙিন রাজধানী
কৃষ্ণচূড়ার রঙে রঙিন রাজধানী

পেছনের পৃষ্ঠা

ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা
ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা

মাঠে ময়দানে

নাটক-গানের জনপ্রিয়তা নিয়ে চলছে ভিউবাণিজ্য
নাটক-গানের জনপ্রিয়তা নিয়ে চলছে ভিউবাণিজ্য

শোবিজ

মৌ’র ‘তুমি রবে নীরবে’
মৌ’র ‘তুমি রবে নীরবে’

শোবিজ

শাপলা চত্বরে নিহতদের শহীদ ঘোষণা করুন
শাপলা চত্বরে নিহতদের শহীদ ঘোষণা করুন

প্রথম পৃষ্ঠা

সাজাপ্রাপ্ত আসামি পালালেন তথ্য গোপন করে
সাজাপ্রাপ্ত আসামি পালালেন তথ্য গোপন করে

প্রথম পৃষ্ঠা

মেট গালায় কিয়ারা দ্যুতি
মেট গালায় কিয়ারা দ্যুতি

শোবিজ

চলমান সংকটের সমাধান দেবে নির্বাচিত সরকার
চলমান সংকটের সমাধান দেবে নির্বাচিত সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

খুরশীদ আলমের ভালো লাগার কথা
খুরশীদ আলমের ভালো লাগার কথা

শোবিজ

এ টি এম আজহারের জন্য দোয়া চাইলেন জামায়াত আমির
এ টি এম আজহারের জন্য দোয়া চাইলেন জামায়াত আমির

প্রথম পৃষ্ঠা

ডা. জুবাইদা ১৭ বছর পর দেশে ফিরলেন
ডা. জুবাইদা ১৭ বছর পর দেশে ফিরলেন

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্রাজিলের কোচ হচ্ছেন!
ব্রাজিলের কোচ হচ্ছেন!

মাঠে ময়দানে

মৌসুমী ইকবালের নতুন গান
মৌসুমী ইকবালের নতুন গান

শোবিজ

পিএসজির মাঠে আত্মবিশ্বাসী আর্সেনাল
পিএসজির মাঠে আত্মবিশ্বাসী আর্সেনাল

মাঠে ময়দানে

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর

না ফেরার দেশে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফুটবলার
না ফেরার দেশে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফুটবলার

মাঠে ময়দানে