নিজের ডিপ্রেশনের কথা কোনও দিনই লুকোননি তিনি। বরং প্রকাশ্যে নিজের এই সমস্যার কথা বলে সকলকে সচেতন করতে চেয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন।
সম্প্রতি ডিপ্রেশন নিয়ে সালমান খান একটি নেতিবাচক মন্তব্য করেন। তার কথায়, “ডিপ্রেসড হয়ে নষ্ট করার মতো সময় আমার নেই।”
এক সাক্ষাৎকারে সালমানের এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন দীপিকা। “অনেকে দুঃখের সঙ্গে ডিপ্রেশনকে গুলিয়ে ফেলেন। কিছু দিন আগে এক পুরুষ তারকা বলেছিলেন, ডিপ্রেসড হওয়ার মতো লাক্সারি তার নেই। যেন আমি বা আমার মতো অন্যরা ইচ্ছে করে ডিপ্রেসড হয়েছি,” কড়া জবাব দীপিকার।
অভিনেত্রী তার কেরিয়ারের শুরু থেকেই শাহরুখ খানের ক্যাম্পের ঘনিষ্ঠ। তাই দীপিকা আর সালমানের সম্পর্ক চিরকালই ঠান্ডা।
সালমান-শাহরুখের মধ্যেকার বরফ গলে গেলেও দীপিকা-সলমনের শীতলতা কাটেনি। তার আরও একটি কারণ ক্যাটরিনা কাইফ এবং দীপিকার অন্তর্দ্বন্দ্ব। ক্যাটরিনার সঙ্গে যার বৈরিতা তাকে সালমান পছন্দ করবেন, এমনটা প্রায় অসম্ভব! একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে সালমান আর দীপিকা এক স্টেজে ছিলেন। সেখানে সালমান হাসতে হাসতে বলে বসেন, শাহরুখ রেগে যাবে বলে দীপিকা তার সঙ্গে ছবি করেন না। যতই সালমান মজা করুন, উপস্থিত সকলেই তাদের ঠান্ডা লড়াইয়ের ব্যাপারটা টের পেয়েছিলেন।
দু’জনের সমস্যার আরও একটি উদাহরণ সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে। সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘ইনশাল্লাহ’য় প্রথমে দীপিকার কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু ছবির মেল লিড হিসেবে সালমানের নাম চূড়ান্ত হওয়ার পরই দীপিকার কাজের সম্ভাবনা ভেস্তে যায়। সেখানে আসেন আলিয়া ভাট।
ইন্ডাস্ট্রির মতে, সালমান ডিপ্রেশন সংক্রান্ত মন্তব্যে দীপিকাকেই ঠুকেছেন। দীপিকাও জবাব দেওয়ার সুযোগ ছাড়েননি।
বিডি প্রতিদিন/কালাম