এতদিন প্রচুর ব্যস্ততা ছিল। বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তিনি। মাথার ঘাম পায়ে ফেলেই জায়গায় জায়গায় ঘুরে বেরিয়েছেন। ভোটের দিনও বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। সমস্যার কথা শুনেই তার সমাধান করেছেন। এখন শুধুই ফলের অপেক্ষা।
অবশ্য তার জন্য ২ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তার আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন পোস্ট করলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে অভিনেত্রী লেখেন, ‘প্রত্যেক সফল মানুষের ভেতরে তীব্র যন্ত্রণা লুকিয়ে থাকে । আবার প্রত্যেক ব্যথাতুর কাহিনির সফল সমাপ্তি হয়। ব্যথাকে আপন করে নিন আর সাফল্যের জন্য প্রস্তুত থাকুন।’
অভিনয়ের থেকে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই বেশি চর্চা হয় শ্রাবন্তীর। কম বয়সেই টলিউড পরিচালক রাজীব বিশ্বাসের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন। রাজীব-শ্রাবন্তীর ছেলের নাম ঝিনুক। রাজীবের সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদের পর মডেল কৃষাণ ব্রজের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। বেশিদিন টেকেনি সেই সম্পর্ক।
তারপর শ্রাবন্তীর জীবনে আসেন রোশন সিং। গুরুদ্বারে গিয়ে রোশনের সঙ্গে বিয়ে সেরেছিলেন শ্রাবন্তী। কিন্ত সেই সম্পর্কেও তিক্ততা আসে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আনফলো করার পর একে অন্যকে পরোক্ষে কটূক্তি করার কোনো সুযোগ ছাড়েননি শ্রাবন্তী-রোশন।
অবশ্য শ্রাবন্তী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন রোশন। তবে দু’জনের কাছাকাছি আসার বা আইনি বিচ্ছেদের কোনো খবর এখনো পর্যন্ত শোনা যায়নি। নিজের জীবনের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন অভিনেত্রী।
জানিয়েছিলেন, কষ্টের কথা ভাবলে একান্তে তার চোখ দিয়ে জল পড়ে। ‘মানুষ তো! কষ্ট তো হয়!’ বলেছিলেন শ্রাবন্তী। কেউ তাকে বোঝার চেষ্টা করেননি বলে অভিযোগ করেছিলেন। সেই ব্যথার কাহিনিই যেন মঙ্গলবারের পোস্টে তুলে ধরেছেন টলিপাড়ার নায়িকা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই