নায়িকা পরীমণির অন্যতম সহযোগী জিমিকে শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আজ শুক্রবার দুপুরে ডিএমপির ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ।
তিনি বলেন, ‘পরীমণি যেসব অবৈধ কাজ ও ব্যবসা করতেন, সেগুলো কাদের নিয়ে করতেন, কাদের সহযোগিতায় করতেন, কারা তার নেপথ্যে, আমরা তাদের নাম পেয়েছি। তার বক্তব্য নোট করছি। যারাই তার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদেরই গ্রেফতার করা হবে।’
‘যারা মাদক ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, তারা এবং তাদের সন্তানরাই খারাপ কাজে লিপ্ত। যারা এই কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে’,- বলেন তিনি।
গত বুধবার সন্ধ্যায় বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে আটক করা হয়। তখন তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করার কথা জানায় র্যাব। পরদিন বৃহস্পতিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব জানায়, পরীমণির বাসায় একটা মিনি বার ছিল। তার বাসায় নিয়মিত পার্টি হতো। সেই পার্টিতে মদসহ সব ধরনের মাদক সাপ্লাই দিতো নজরুল ইসলাম রাজ। রাজের নেতৃত্বে একটা সিন্ডিকেট ছিল, যাদের কাজই হলো উঠতি বয়সী তরুণীদের দিয়ে নানারকম অপকর্ম করানো। পরীমণিকে আটকের আগেরদিন মঙ্গলবার মিশুক ও জিসান নামে দুজনকে গ্রেফতারের পর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরীমণি ও রাজের বাসায় অভিযান চালানো হয়।
এরপর বনানী থানার মাদক মামলায় নায়িকা পরীমণিকে গতকাল চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ ছাড়া প্রযোজক নজরুল ইসলাম ওরফে রাজ এবং দুই সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপু ও সবুজ আলীর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
গতকাল রাতে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম গণমাধ্যমকে জানান, পরীমণি ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এসব মামলার তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে।
ওইদিন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে র্যাব সদর দফতর থেকে কালো একটি মাইক্রোবাসে তাদের বনানী থানায় নেওয়া হয়। পরে তাদের বনানী থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। এরপর বনানী থানায় র্যাব বাদী হয়ে মামলা পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ