সারাবিশ্ব থমকে আছে মহামারি করোনার করাল গ্রাসে, থমকে গেছে অনেক জীবন। চলমান সময়ের সঙ্গে জীবন ও জীবিকার জন্য অনবদ্য লড়াই করে যাওয়া একটি মেয়ের সাইকোলজিক্যাল গল্প “বিবর্ণ প্রহর”। চলমান সময়ের গল্প নিয়ে চলচ্চিত্রটির চিত্রধারণের কাজ শেষ হয়েছে ৫ আগস্ট। চলচ্চিত্রের পুরো চিত্রধারণ হয়েছে বগুড়ায়।
নির্মাতা সুপিন বর্মনের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “বিবর্ণ প্রহর” এ অভিনয় করলেন অভিনেত্রী সঞ্চিতা দত্ত। তিনি ২০১৭ সালে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছিলেন।
নির্মাতা সূত্রে জানা যায়, অনেক স্বপ্ন ও আশা নিয়ে সদ্য গড়ে ওঠা একটি মিডিয়া অফিসে চাকরি করেন স্বপ্নপ্রেমী জয়া। শুরুর সময়গুলো ভালো বেতনে খুব ভালোভাবেই কেটে যাচ্ছিল জয়ার। কিন্তু হঠাৎ করে করোনার করাল গ্রাসে এলোমেলো হয়ে যায় সব পরিকল্পনা। সদ্য গড়ে ওঠা মিডিয়া অফিসটি প্রচুর লোকসান গুণতে থাকে এবং একসময় কর্মীদের বেতনভাতা দিতে না পেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য অফিস বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। প্রচণ্ড হতাশায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন জয়া। কর্মহীন হয়ে পড়েন তিনি। এতোদিন অভাবের সংসারে বাড়িভাড়া, মায়ের চিকিৎসা, সংসারের খরচ দু হাতে বহন করতেন তিনি। কিন্তু অফিস ও বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি এখন নির্বাক। কী হবে, কী করবেন, নানারকম দুঃশ্চিন্তায় মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন জয়া। তার প্রতিটি প্রহর হয়ে উঠে বিবর্ণ।
এরকম গল্প নিয়েই সাইকোলজিক্যাল চলচ্চিত্র বিবর্ণ প্রহর। এ যেন চলমান সময়ের ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রতিফলন। চলচ্চিত্রটির কাহিনি রচনা করেছেন আর আই লিপসন এবং একইসঙ্গে চিত্রধারণের কাজও করেছেন তিনি।
চলচ্চিত্রটির মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সঞ্চিতা দত্ত। এ ছাড়া বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিধান রায়, সনি কর্মকার, রবিউল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম সোহল প্রমুখ।
চলচ্চিত্রটি দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনের পর একটি ওটিটি প্লাটফর্মে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান নির্মাতা সুপিন বর্মন। চলচ্চিত্রটি নির্মাণের সকল কারিগরি সুবিধা প্রদান করেছে ‘অরীতি ক্রিয়েশন্স’।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ