বলিউডের জনপ্রিয় তারকা সাইফ আলী খান। বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী অমৃতা সিংকে। তাদের সংসারে ১৯৯৫ সালে জন্ম হয় মেয়ে সারা আলি খানের। আর ২০০১ সালে জন্ম হয় ছেলে ইব্রাহিম আলী খানের। কিন্তু এরপর থেকেই অবনতি হয় সাইফ-অমৃতার সম্পর্কের। অবশেষে ২০০৪ সালে বিচ্ছেদের পথ বেছে নেন তারা। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ ১৭ বছর।
মা-বাবার বিচ্ছেদের ১৭ বছর পর প্রথমবারের মতো এ বিষয়ে মুখ খুললেন সারা আলী খান।
তিনি বলেছেন, তাদের সম্পর্কে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছিল, তারা সুখী ছিলেন না। তাই বিবাহ বিচ্ছেদটাই সেরা সিদ্ধান্ত ছিল।
সম্প্রতি ভুট-এর ‘অরিজিন্যাল ফিট আপ উইথ দ্য স্টার্স’-এর ৩ নাম্বার সিজনে এ মন্তব্য করেন সারা।
তিনি বলেন, “আসলে আমাদের হাতে দু’টো অপশন থাকে। এক হল, অসুখী হয়েও একই সঙ্গে চুপচাপ থাকা। আর দুই হল, সম্পর্ক তিক্ত হয়ে গেলে অন্য বাড়িতে দু’জনে আলাদা থেকে সুখী থাকা । তা হলে একে অপরের প্রতি সম্মান বজায় থাকে। বাবা-মা সম্পর্কে সুখী ছিলেন না। তাই বিবাহবিচ্ছেদটাই সেরা সিদ্ধান্ত ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “মা যেমন আমার খুব ভালো বন্ধু, বাবাও তাই। যখন খুশি বাবাকে ফোন করতে পারি, তার সঙ্গে গিয়ে থাকতে পারি। সময় কাটাতে পারি।”
১৯৯১ সালে বয়সে ১২ বছরের বড় অমৃতা সিংকে বিয়ে করেছিলেন সাইফ। তবে এ বিয়েতে পরিবারের কারও মত ছিল না। বড় ছেলে ইব্রাহীম আলী খানের জন্মের তিন বছর পর ২০০৪ সালে সাইফ আলী খান ও অমৃতা সিংয়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘ সময় একা ছিলেন সাইফ। সিঙ্গেল মাদার হিসেবে ছোট দুই সন্তানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন অমৃতা সিং।
২০১২ সালে নিজের চেয়ে ১০ বছরের ছোট কারিনা কাপুরের সঙ্গে বিয়ের পর তৈমুর জন্ম নেয় ২০১৬ সালে। এরপরই বলিউডের সব আলো এসে পড়ে তার ওপর। সেলিব্রিটি সন্তানদের মধ্যে তৈমুরের ফলোয়ার সবচেয়ে বেশি। এরপর আরও একটি সন্তানের জন্ম হয় কারিনা ও সাইফের।
বিডি প্রতিদিন/কালাম