১৮ অক্টোবর, ২০২১ ১৬:৩৩

বৈশাখীর ধারাবাহিক নাটক ‘জমিদার বাড়ী’

প্রচার ১৯ অক্টোবর, মঙ্গলবার

অনলাইন ডেস্ক

বৈশাখীর ধারাবাহিক নাটক ‘জমিদার বাড়ী’

বৈশাখী টেলিভিশনের তারকাবহুল ধারাবাহিক নাটক: ‘জমিদার বাড়ী’। সপ্তাহে তিনদিন প্রতি মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ২০ মিনিটে প্রচার হবে নাটকটি। অভিনয় করেছেন মনোজ সেন গুপ্ত, শম্পা রেজা, আ খ ম হাসান, নাদিয়া মীম, শিল্পী সরকার অপু, শাহনূর, সুব্রত, মোমেনা চৌধুরী, মিলন ভট্ট, সিফাত, ইমতু, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। গল্প:  টিপু আলম মিলন, সংলাপ-চিত্রনাট্য ও পরিচালনা: সাজ্জাদ হোসেন দোদুল । প্রযোজনা: এশিয়াটিক মাইন্ড শেয়ার।

নাটকের কাহিনী বলতে গিয়ে বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক  টিপু আলম মিলন বলেন, জমিদারি প্রথা শেষ হয়েছে সেই কবে। ভগ্নপ্রায় জমিদার বাড়িগুলো এখন পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত। জমিদারি প্রথা শেষ হলেও বংশ পরম্পরায় তাদের ঠাট-বাঁট, আচার-আচরণ, চলন-বলন এখনো রয়ে গেছে। নদী মরে গেলে যেমন তার বাঁক রয়ে যায়, তেমনি জমিদারি শেষ হলেও তাদের শরীরে রয়ে গেছে জমিদারি রক্ত।

জমিদারি রক্তের কারণেই অহংকারে মাটিতে পা পড়ে না, আশপাশের মানুষকে তাচ্ছিল্য করে, ঘৃনার চোখে দেখে। তাদের চলন-বলনে মনে হয় এখনও তারা জমিদার বহাল আছেন, সমাজের সবাই তাদের আগের মতোই সম্মান করবে, কুর্নিশ করবে। তারা মানতেই চায় না এ এক নতুন সমাজ , তাদের জমিদারি আজ আর নেই। কিন্তু তা না থাকলে কি হবে, জমিদারি প্রথার মতোই শ্রেণি বৈষম্য এখন সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। নব্য সমাজ প্রতিভূ জমিদারদের দাপটে সুন্দর সমাজ আজ ক্ষতবিক্ষত। সমাজের নানা অসংগতিগুলোই ওঠে এসছে নাটকের গল্পে।

তিনি আরও বলেন, নাটকের মূল উপজীব্য ভগ্নপ্রায় মির্জা জমিদারের বাড়ি। এলাকার মানুষের কাছে এ বাড়িটি এখনো অনেক বিস্ময়। প্রচুর ধন সম্পদ আর প্রাচুর্যেও কারণে এলাকার মানুষের কাছে তাদের অনেক সম্মান। উপর থেকে এই জমিদার বাড়ির যতই চাকচিক্য থাক ভেতরে ভেতরে ফাটল ধরে গেছে। জমিদার রমজান মির্জা মারা যাওয়ার সময় সমস্ত সম্পত্তি স্ত্রী রাবেয়ার নামে লিখে দিয়ে যান। রাবেয়ার তিন ছেলে-বাদশা, নবাব ও সম্রাট। গ্রামের মানুষ এটাও জানে-রাবেয়া মির্জা জমিদারের একক স্ত্রী নন, এক বাঈজীকে বিয়ে করেছে, তার ঘরেও আরও সন্তান আছে। এটা জানার পর ক্ষুব্ধ রাবেয়া মির্জা বিশ্বস্ত লোক দ্বারা জমিদার রমজান মির্জাকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করান। হত্যার আগে সব সম্পত্তি জোর করে নিজের নামে লিখিয়ে নেয়। জমিদারের মৃত্যুরহস্য আজও অজানা। কাহিনী যত এগিয়ে যাবে, ততই উন্মোচিত হবে একের পর এক নাটকীয়তা। আমার লিখা অন্যান্য নাটকগুলোর মতো ‘জমিদার বাড়ী’ নাটকটিও দর্শকপ্রিয়তা পাবে বলে আমার বিশ্বাস।

বিডি-প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর