চমৎকার ঘুম মানেই অর্থবহ একটা দিন। নিদ্রাহীনতার কারণে শারীরিক ও মানসিক নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা স্বস্তিতে ঘুমাতে পারলে কর্মক্ষতার পাশাপাশি উদ্দীপনাও বেড়ে যায়। আজকাল অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষের সংখ্যা যেন বেড়েই চলেছে। কেউ কেউ এ কারণে ঘুমের ট্যাবলেট সেবন করে থাকেন যা শারীরিক ও মানসিক উভয় প্রকার স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতিকর। তবে একটু চেষ্টা করলেই নিদ্রাহীনতা কেটে যেতে পারে, আরামদায়ক ঘুমেরর পর পেতে পারেন ঝরঝরে সুন্দর একটি সকাল।
আরামদায়ক ঘুমের জন্য যা যা করবেন:
১. ঘুমের ঘরটি এমনভাবে সাজান, যেন তা হয় শান্ত এবং কিছুটা অন্ধকারময়। বিছিয়ে নিন পরিষ্কার প্রিয় রঙের চাদর। ঘরটা যেন থাকে গুছানো আর পরিচ্ছন্ন।
২. প্রতিরাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান। মিনিট বিশেক হালকা মেজাজের কোনো বই পড়তে পারেন বা প্রিয় কোনও মৃদু লয়ের গান শুনতে পারেন।
৩. সন্ধ্যার পর অ্যালকোহল বা ক্যাফেইন আছে এমন কোনও পানীয় গ্রহণ করবেন না। চা, কফি বা যে কোনো উত্তেজক পানীয় আপনার ঘুমকে বিঘ্নিত করতে পারে।
৪. প্রতিদিন নিয়মিত ব্যয়াম অনেকাংশেই আপনার চাপ কমিয়ে দেবে এবং আপনাকে শিথীল থাকতে সাহায্য করবে। যেহেতু ব্যয়াম শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়, কাজেই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরই এই কাজ করা সবচেয়ে ভালো।
৫. দমের ব্যায়াম করুন।
৬. বিছানায় শুয়ে চোখ বন্ধ করে সারাদিন যা যা করলেন তা একে একে ভিজুয়ালাইজ করুন। তারপর পরের দিনের কর্মপরিকল্পনার ছক করুন।