নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়েছেন গত মাসে। তার সম্পদের বিবরণী তৈরি করতে হবে। আর এটা করতে গিয়েই মহাফ্যাসাদে পড়েছেন কর্মকর্তারা। সম্পদ বলতে নতুন প্রধানমন্ত্রীর দু'টো মুঠোফোনই সম্বল! ব্যক্তিগত ব্যবহার সামগ্রী হওয়ায় এ দু'টোকেও সম্পদ হিসেবে ধরতে পারছেন না তারা। অগত্য ব্যক্তিগত তথ্য ছাড়া বাকি ঘরগুলো ফাঁকা রেখেই বিবরণী জমা দিতে হচ্ছে।
নেপালের এ নতুন প্রধানমন্ত্রীর ঘরে স্ত্রী-সন্তান বলতেও কেউ নেই। ফলে চিরকুমার এ রাজনীতিকের ব্যক্তিগত তথ্যের এ ঘরগুলোও ফাঁকা রাখতে হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা পিটিআই প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, সুশীল কৈরালা সাদামাটা জীবনযাপনের জন্য বেশ পরিচিত। তাঁর কোনো সম্পদ নেই। কেবল আছে দুটি মুঠোফোন।
মুখ্য সচিব বসন্ত গৌতম গতকাল শনিবার পিটিআইকে জানিয়েছেন, 'নিয়ম অনুযায়ী জমা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সম্পদের বিবরণী তৈরি করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঝামেলায় পড়েছেন। কারণ বিবরণীতে উল্লেখ করার মতো কোনো সম্পদ নেই প্রধানমন্ত্রীর। কৈরালায় নেই তার কোনো বাড়ি, নেই একখণ্ড জমি, নেই কোনো বিনিয়োগ। তাঁর কোনো গাড়ি বা মোটরবাইকও নেই।’
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ৭৫ বছর বয়সী এই প্রধানমন্ত্রীর কোনো সোনাদানা কিংবা রুপা নেই। তাঁর নামে অন্য কোনো সম্পদও নেই। আছে কেবল দুটি মুঠোফোন।
বসন্ত গৌতম বলেন, ‘এই মুঠোফোন দুটিকে প্রধানমন্ত্রীর সম্পদ হিসেবে আমরা উল্লেখ করতে পারছি না। এ কারণে কোনো ধরনের সম্পদ উল্লেখ না করেই প্রধানমন্ত্রীর সম্পদের বিবরণী জমা দেবেন তাঁরা। বিবরণীতে কেবল প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত তথ্য থাকবে।
গত মাসে নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন কৈরালা। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উঠার আগে কাঠমাণ্ডুর উপকণ্ঠে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। দলের প্রেসিডেন্টের জন্য নেপালি কংগ্রেস ওই বাসাটি ভাড়া করেছিল। অবিবাহিত কৈরালা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পরও সাদামাটাভাবে জীবনযাপন করতেই পছন্দ করছেন।