রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে রিকশা চালিয়ে নিজের এবং পরিবারের খাবার যোগান দেন যারা সেই সব সংগ্রামী রিকশা চালককে নিয়ে রাজধানীতে দ্বিতীয়বার রিকশা রেসের আয়োজন করেছিলেন সেসিলিয়া আমি কিতাজিমা এক বিদেশিনী।
গতকাল শুক্রবার 'ঢাকা রিকশা ফেস্টা উইক ২০১৪' -এ রিকশা নিয়ে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন উদ্যোক্তা সেসিলিয়া আমি কিতাজিমা। বললেন, 'বাংলাদেশের রিকশা নিয়ে তিনি একটি তথ্যচিত্র বানাবেন।'
সেসিলিয়ার জন্ম আর্জেন্টিনায়। তবে তার বাবা ও মা দুজনই জাপানের নাগরিক। সেসিলিয়া একজন চলচ্চিত্র পরিচালক। আর এ উৎসবে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। সঙ্গে ছিল বেশ কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে রিকশা রিলে রেসে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ১০৫ জন প্রতিযোগী। সকাল সাড়ে ৮টায় থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ আয়োজন হয়। দুই ধাপের এ প্রতিযোগিতায় প্রথম পর্বে ছিল মানিক মিয়া এভিনউ থেকে পূর্ব দিকে ৫০০ মিটার পথে ২১ জন। এরপর দ্বিতীয় এবং প্রধান পর্ব ছিল মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে পূর্ব দিক দিয়ে শিশু মেলা হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউ পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথে ৮৪ জন প্রতিযোগী। এই পথ চারবার ঘুরতে হয় প্রতিযোগীদের।
বিকেলে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রধান রেইসে বিজয়ীদের মধ্যে প্রথম ৫০ হাজার, দ্বিতীয় ৩০ হাজার এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। ৫০০ মিটার রেইসে প্রথম ১০ হাজার, দ্বিতীয় পাঁচ হাজার এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীকে তিন হাজার টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করা হবে।
এছাড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সব রিকশাচালককে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। পুরো আয়োজনে ছিল ৪২টি রিকশা। প্রতিযোগিদের মধ্যে বিভিন্ন পেশার জাপানী নাগরিক পাঁচজন।