শুরু হয়েছে মধুমাস। জেলার প্রতিটি বাগানে লিচু পাড়া, ঝুঁড়ি ভরাসহ নানান কাজে নারীদের কাজ করতে বেশী দেখা যায়।
কাবিখা, টাবিখা, কর্মসৃজন কিংবা সরকারের বিশেষ কোন প্রকল্প নয়, দিনাজপুরে ১৩ উপজেলায় লিচুর বাগানে কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ হাজার নারীর খন্ডকালীন কর্মসংস্থান হয়েছে।
গত ১৩ মে থেকে শুেু হওয়া এই কর্মসংস্থান চলবে আগামী মাসের ১৫ জুন পর্যন্ত।
সংসারের পাশা পাশি মহিলারা গড়ে ২৫০ টাকা করে এই এক মাসে সাড়ে ৭ হাজার টাকা আয় করবে। সাথে তারা পরিবারের খাওয়ার জন্য পাবে পর্যাপ্ত লিচু।
দিনাজপুরে লিচু মৌসুম শুরু হয়েছে। বাগানিরা তাদের বাগানের লিচু ভাঙ্গতে শুরু করেছে।
বাজারে আসতে শুরু করেছে মাদ্রাজি লিচু। এর পর বাজারের একে একে আসবে বেদানা, তার পর আসবে চায়না-১ চায়না-২ ও চায়না-৩ এবং লিচুর রাজা বোম্বাই। সব শেষে বাজারে আসবে কাঁঠালী লিচু। এ ছাড়াও লিচুর আরো কয়েকটি জাত রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিস জানায়, দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলার মাটি ও জলবায়ু লিচু উৎপাদনে উপযোগী হওয়ায় লিচু চাষে নীরব বিপ্লব ঘটেছে। এবার দিনাজপুরে ৪ হাজার ৫৭ হেক্টর জমিতে ৫ হাজার ২৯৮ টি বাগানে ৬ লাখ ৪৫টি গাছে লিচু উৎপাদন হয়েছে। উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ হাজার ২২৭ মেট্রিক টন।
লিচু বাগানীরা জানায়, দিনাজপুরে বাগান গুলোতে লিচু ভাঙ্গা শুরু হয়েছে। এই বাগান গুলোতে মহিলারা লিচু বাছাই ও বাঁধার কাজ করছে। একেকটি বাগানে ১৫ থেকে শুরম্ন করে ৩০ জন পর্যন্ত মহিলা কাজ করছে।
লিচু বাগানী ও ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম, লুৎফর রহমান, জাকির হোসেন জানান, লিচুর এই মৌসুমে কমপক্ষে ১ লক্ষ মহিলার ১ মাসের কর্মসংস্থান হয়ে থাকে।
দিনাজপুর সদর উপজেলার মাসিমপুর এলাকায় লিচু বাগানে কাজ করতে আসা ছাবিয়া, মজিনা, সুমি, জাহেদা জানায়, এই কাজ তারা প্রতিবছর করে থাকে। সংসারের কাজের পাশা পাশি তারা এই কাজ করে থাকে। তারা সকাল ৯ টার সময় আসে আর দুপুর ২ টার দিকে কাজ শেষ করে। মজিলারা জানায়, তারা এই কাজ খুব স্বাচ্ছন্দে কাজ করে।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর কৃষি অধিদপ্তরের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম জানান, গত ৩/৪ বছর ধরে মহিলারা লিছুর বাগানে কাজ করছে। মহিলাদের মজুরী কম হওযায় এবং তাদের কাজ পরিচ্ছন্ন হওয়ায় বাগানী ও ব্যবসাযীরা মহিলা শ্রমিকদের কে দিয়ে কাজ করাতে বেশী আগ্রহী।