মাছ পানিতে থাকে এবং নিঃশ্বাস গ্রহন করে তাদের ফুলকার মাধ্যমে। ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে ‘a fish out of water’ নামে। এই প্রবাদটি দিয়ে কোনো কিছুর বিচিত্র অবস্থা বোঝানো হয়।
যেমন ধরা যাক, স্বাভাবিক দৃষ্টিতে মাছ পানিতে থাকে কিন্তু যদি মাছ পানি ছাড়াও বাঁচতে পারতো তাহলেই এই প্রবাদটি বলা হতো।
তবে, আর যাই হোক পানি ছাড়া যে মাছ বাঁচতে পারে না এটা চিরসত্য ব্যাপার। যদিও এতক্ষন আমরা যে গড়পড়তা নিয়মকানুনের কথা বললাম তা সকল মাছের ক্ষেত্রে খাটলেও একদল মাছের ক্ষেত্রে কিছু খাটে না।
এই মাছেদের সচরাচর মানুষ কিলফিস নামেই চেনে। দেখতে মাত্র কয়েক ইঞ্চি আয়তনের এই মাছগুলোর একটি প্রজাতিকে আমরা বিভিন্ন অ্যকুরিয়ামে দেখতে পাই এবং এদের দেখতেও খুব একটা বিচিত্র মনে হয় না।
তবে মৎস্যবিজ্ঞানীদের দাবি, পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন মাছেদের তালিকায় এই মাছ অন্যতম। কিন্তু এই মাছটি অন্য মাছেদের থেকে ভিন্ন হওয়ার কিছু কারণ আছে।
এরমধ্যে অনত্যম হলো এদের প্রজনন প্রক্রিয়া। অধিকাংশ কিলফিসই অন্যান্য মাছেদের মতো প্রজনন করে না। জন্মগ্রহনের পর সর্বোচ্চ এক বছরের মধ্যেই এরা মারা যায়।
কিন্তু স্বাভাবিক হিসেব অনুযায়ী একটি কিলফিস জন্মানোর তিন মাস পরেই মারা যায়। অন্যান্য মাছেদের মতো কিলফিস শুধুমাত্র ফুলকার সাহায্যেই নিঃশ্বাস গ্রহন করে না।
এছাড়াও অন্য মাছেরা যেমন পানিতে সাতার কাটে, কিলফিসেরা সেখানে সাতার কাটার বদলে ঘোলা পানি অথবা কাদার মধ্যে ডুবে থাকতেই পছন্দ করে।
এমনও দেখা গেছে যে, কিলফিসদের কিছু প্রজাতি পানি ছাড়া টানা দুই মাসও বাঁচতে পারে। শুধু তাই নয় অনেক কিলফিস পানি থেকে ডাঙ্গায় ওঠে শিকারও করে থাকে।
আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো কিছু কিলফিসকে গাছে বাস করতেও দেখা গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৪ মে, ২০১৫/ নাবিল