নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জন ফোর্বস ন্যাশ আর নেই। রবিবার সকালে আমেরিকার নিউ জার্সিতে এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ন্যাশ ও তার স্ত্রী অ্যালিসিয়া। মৃত্যুকালে ন্যাশের বয়স হয়েছিল ৮৬, অ্যালিসিয়ার ৮২।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছে, দু’জনের কেউই সিটবেল্ট বাঁধেননি। ট্যাক্সি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আর একটি ট্যাক্সির সঙ্গে ধাক্কা মারে পথের পাশের রেলিঙে। সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় দু’জনের।
১৯৯৪ সালে যখন অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন ন্যাশ। ২০০১ সালে রন হাওয়ার্ড নির্মিত চলচ্চিত্র ‘আ বিউটিফুল মাইন্ড’-এর জন্য তিনি মানুষের কাছে বেশি পরিচিত। ওই বায়োপিক তৈরি হয়েছিল নিউইয়র্ক টাইমসের অর্থনীতির সংবাদদাতা সিলভিয়া নাশার রচিত ওই নামের বইটি থেকেই। ‘আ বিউটিফুল মাইন্ড’ পেয়েছিল চারটি অস্কার, শ্রেষ্ঠ ফিল্মের পুরস্কার সমেত। বায়োপিকে ন্যাশের চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছিলেন, ‘গ্ল্যাডিয়েটর’-খ্যাত সেই রাসেল ক্রো দুর্ঘটনার খবর পেয়ে টুইট করেছেন, ‘‘মর্মাহত...আমার সমবেদনা ন্যাশ পরিবারের প্রতি। আশ্চর্য দাম্পত্য! চমৎকার মন, চমৎকার হৃদয়!’’
২০০৪ সালে ইটালির ত্রিয়েস্ত শহরে নোবেলজয়ী আবদুস সালাম প্রতিষ্ঠিত গবেষণাগারের ৪০ বছর পূর্তি উৎসবে সস্ত্রীক ন্যাশও হাজির হয়েছিলেন। সাংবাদিকেরা অনেকে খুব চেষ্টা করেও ন্যাশ-এর এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউ নিতে পারেননি কারণ তার স্ত্রী অ্যালিসিয়া কারও সঙ্গে স্বামীকে কথা বলতে তো দিলেনই না, প্রায় পুলিশি প্রহরায় আগলে রাখলেন সর্বক্ষণ। এই পরিচর্যা শুধু সহধর্মিণীর নয়, যোগ্য সহকারীরও। মৃত্যুর সময়ও স্বামীকে একা যেতে দেননি, নিজেও সঙ্গে গেলেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৫ মে, ২০১৫/ রশিদা