পৃথিবী থেকে দ্রুত কমে যাচ্ছে মাওয়ি প্রজাতির বিরল ডলফিন। কমে যেতে যেতে এমন অবস্থায় ঠেকেছে যে বর্তমানে এদের সংখ্যা মাত্র পঁঞ্চাশ। যদিও গবেষকরা দীর্ঘদিন ধরেই মাওয়ি প্রজাতির ডলফিন রক্ষার্থে আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
কিন্তু কোনো আহ্বানই এখন পর্যন্ত ডলফিন শিকারীদের বন্ধ করতে পারেনি। এমতাবস্থায় বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন যে, এভাবে চলতে থাকলে আগামী ১৫ বছরের মধ্যেই পৃথিবী থেকে চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে মাওয়ি প্রজাতির ডলফিন।
আর তা হবে মানবপ্রজাতির জন্য প্রচন্ড হুমকির। বিশেষত নিউজিল্যান্ডের পশ্চিম এবং উত্তর তীরবর্তী অঞ্চলে এই ডলফিনদের দেখা মেলে।
১৯৭০ সাল থেকেই মূলত এই মাওয়ি ডলফিনদের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। ১৯৭০ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ৯৩ শতাংশ মাওয়ি ডলফিন মারা গেছে।
এবিষয়ে ডলফিন বিষয়ক গবেষক ড. বারবারা একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন যে, তাদের বিলুপ্তি এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র।
ডলফিনদের সংরক্ষার্থে কোনো দেশের সরকারই কোনো ভূমিকা পালন করছে না। মাওয়ি ডলফিনদের বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো এদের বিচরণ স্থান।
তীরবর্তী অঞ্চলের কয়েক মাইলের মধ্যে এরা ঘোরাফেরা করে। অন্যান্য ডলফিনের তুলনায় ছোটো হওয়ায় অক্সিজেনের জন্য তাদের সমুদ্রপৃষ্ঠের নিকটবর্তী অঞ্চলে বাস করতে হয়।
আর এই কারণে অধিকাংশ সময়েই তারা মাছ ধরা জেলেদের জালে ধরা পরে এবং চড়া দামে এদের বিক্রি করে দেয়া হয়।
ডলফিন বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মাওয়ি ডলফিন জেলেদের হাতে মৃত্যু হয়।
এব্যাপারে নিউজিল্যান্ড সরকারের হস্তক্ষেপ আশা করা হলেও, সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩০ মে, ২০১৫/ নাবিল