দামে সস্তা ও পরিবেশবান্ধব সুপারসনিক বাণিজ্যিক বিমান গবেষণায় ৬ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থায়ন করছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। উদ্দেশ্য বিদ্যমান সুপারসনিক বিমানের চেয়ে সাশ্রয়ী, কম শব্দযুক্ত ও পরিবেশবান্ধব যাত্রীবাহী বিমান তৈরি। ২০৩০ সাল নাগাদ এ ধরনের বিমানের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিদ্যমান আধুনিক যুদ্ধবিমানগুলো শব্দের চেয়ে অধিতকর গতিতে উড়তে সক্ষম। এসব বিমান একসঙ্গে খুব বেশি সংখ্যায় চলাচল করে না বলে পরিবেশের উপর এদের ক্ষতিকর প্রভাব কম। আবার বাণিজ্যিক বিমানগুলো যদি সুপারসনিক গতিতে উড়তে শুরু করে তাহলে পরিবেশের উপর বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
সুপারসনিক বিমানগুলোর কয়েকটি নেতিবাচক দিক রয়েছে। যেমন সুপারসনিক ইঞ্জিন প্রচলিত জেট ইঞ্জিনের চেয়ে অধিক জ্বালানি খায়, এগুলো বেশি শব্দ করে এবং জেট বিমানের তুলনায় অনেক উঁচু দিয়ে অর্থাৎ বায়ুমণ্ডলের স্ট্রাটোস্ফিয়ার স্তরের কাছাকাছি উচ্চতা দিয়ে উড়ে। এতে করে ওজোন স্তরে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
মূলত এসব নেতিবাচক বৈশিষ্ট্যবিহীন নতুন প্রজন্মের সুপারসনিক বিমান তৈরির লক্ষ্যে পরিচালিত গবেষণাতেই অর্থায়ন করছে নাসা। এ লক্ষ্যে লকহিড মার্টিন ও বোয়িংয়ের মতো বিমান প্রস্তুতকারী কোম্পানির সঙ্গে ২০০৬ সাল থেকে কাজ করছে সংস্থাটি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেমন শব্দ দূষণ হ্রাসের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে তারা বড় ধরনের সফলতা পেয়েছে।
সবকিছু পরিকল্পনামাফিক এগুলো ২০২৫ সাল নাগাদ বিজনেস জেট আকৃতির সুপারসনিক বিমান এবং ২০৩০ সাল নাগাদ বাণিজ্যিক সুপারসনিক বিমানের উৎপাদন শুরুর আশাবাদ ব্যক্ত করেছে সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, প্রচলিত সুপারসনিক বিমান শব্দের গতির চেয়ে প্রায় দেড়গুণ বেশি গতিতে উড়তে পারে। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে এ ধরনের বিমান তৈরি হয়। এগুলো প্রধানত গবেষণা ও সামরিক কাজেই ব্যবহৃত হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/৯ জুন ২০১৫/শরীফ