জীবনযাপনের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে প্লাস্টিক নিজের বেশ শক্তিশালী অবস্থান করে নিয়েছে। ঘুম ভাঙ্গা থেকে শুরু করে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বিভিন্নভাবে প্লাস্টিক বা পাস্টিকজাত পণ্য আমাদের ব্যবহার করতে হচ্ছে।
আর গবেষণাগারে প্রস্তুতকৃত এই প্লাস্টিক আমরা ব্যবহার শেষ করে ফেলে দিচ্ছি ময়লার ঝুড়িতে। সেই ঝুড়ির ময়লা বড় ডাস্টবিন হয়ে চলে যাচ্ছে হয় ভূ-গর্ভে নতুবা সমুদ্রে।
প্লাস্টিক ভূগর্ভেই ফেলা হোক আর সমুদ্রেই ফেলা হোক, তাতে কিন্তু নষ্ট হচ্ছে না প্লাস্টিক। উপরন্তু প্রকৃতিতে থেকেই ভিন্নভাবে নেতিবাচক ক্রিয়া করছে ওই প্লাস্টিক।
সম্প্রতি একদল গবেষক দাবি করছেন যে, সমুদ্রের অতিক্ষুদ্র জীব প্ল্যাঙ্কটন দীর্ঘদিন ধরেই খাবার হিসেবে প্লাস্টিককে গ্রহন করছে। আর সমুদ্রের বাস্তসংস্থানের একেবারে ক্ষুদ্র একক প্লাস্টিক খেতে শুরু করায় এর প্রভাব অনতিবিলম্বেই গোটা বাস্তুসংস্থানের উপর পরবে।
কারণে এই প্লাঙ্কটনগুলোকে আবার খাবার হিসেবে গ্রহন করছে অন্য প্রাণীরা। এভাবে বাস্তসংস্থানের এক পর্যায়ে প্লাস্টিক দ্বারা পুরো সামুদ্রিক প্রাণীকূলই আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে।
আর এভাবে দীর্ঘসময় চললে সমুদ্রের অনেক প্রাণীই চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। গবেষকদের ধারন করা ভিডিওচিত্র মারফত দেখা যাচ্ছে, যেসব প্লাঙ্কটন খাদ্য হিসেবে প্লাস্টিকের কনা গ্রহন করছে তাদের শারিরীক গঠন পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে এবং খুব দ্রুত মারা যাচ্ছে।
প্লাঙ্কটন যদি খুব দ্রুত মারা যায় তাহলে তার প্রভাব খুব দ্রুত এবং সরাসরি গোটা বাস্তুসংস্থানের ওপর পরে।
এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতিবছর বিশ্ববাসী প্রায় আট মিলিয়ন টন প্লাস্টিক সমুদ্রে নিক্ষেপ করে। আর এই প্লাস্টিকের অধিকাংশই আসে চীন, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম এবং শ্রীলঙ্কা থেকে।
বিডি-প্রতিদিন/ ৯ জুলাই ২০১৫/নাবিল