বাড়িতে শখের বশে অনেকে মুরগি পুষে থাকেন। আবার ব্যাণিজ্যিকভাবে অনেকে মুরগি পালন করেন। বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে এসব মুরগির দাম কতই বা আর হয়। ধরুন সর্বোচ্চ দাম এক হাজার টাকা। কিন্তু পৃথিবীতে এমন এক প্রজাতির মুরগি আছে যার মূল্য এতই বেশি যে আপনি কখনো কল্পনাও করেননি। বলা হচ্ছে ভিয়েতনামের ড্রাগন মুরগির কথা। এই প্রজাতির এক জোড়া মুরগির দাম ১,৬০০ পাউন্ড অর্থাৎ বাংলাদেশি মু্দ্রায় যার মূল্য এক লাখ ৯৬ হাজার ৮৬৫.৮৫ টাকা। যা ভাবছেন তাই, এটাই বিশ্বের সবচেয়ে দামি মুরগি। এরআগে ইন্দোনেশিয়ার আয়াম চেমানি নোমের এক জাতের কালো রঙের মুরগিকে বলা হতো সবচেয়ে দামি।
এত দাম হওয়ার আরেকটা কারণ হলো ড্রাগন মুরগির বংশ বিস্তার খুবই কঠিন ব্যাপার, ফলে মাংসের সরবরাহও কম। তবে মাংস খুবই সুস্বাদু।
দেশটির রাজধানী হ্যানয় থেকে প্রায় ২০ মাইল দূরে হাং ইয়েন প্রদেশের খোয়াই শাউ জেলা থেকে ড্রাগন মুরগি নিয়ে সাধারণত বিভিন্ন রেস্তোরাঁতে ধনীদের জন্য রান্না করা হয়।
ড্রাগন মুরগির বৈশিষ্ট্য হলো এদের পায়ে পুরু লালচে আবরণ পড়ে, যা একজন মানুষের কবজির মতো পর্যন্ত মোটা হয়। এদের ওজন ৩ থেকে ৫ কেজি হতে সময় লাগে আট মাস থেকে এক বছর। ড্রাগন মুরগি সাধারণত সাদা রঙের হয়। একটি বড় মোরগের ওজন ৬ কেজির চেয়েও বেশি হতে পারে। সাদা পালকের মধ্যে মধ্যে থাকে রঙিন পালক। আবহাওয়া পরিবর্তন হলেই এরা নানা ধরনের অসুখে ভোগে।
বংশবিস্তার কম হওয়ার আরেকটা কারণ হলো এদের শক্ত পা। যে কারণে প্রজনন মৌসুমে চাষিদের অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয়। একটা সময় ভিয়েতনামের রাজকীয় পরিবারের জন্য এই মুরগি পালন করা হতো।
বিডি-প্রতিদিন/১০ জুলাই, ২০১৫/মাহবুব