পোলো খেলাকে বলা হয় রাজার খেলা। ইওরোপ এবং আমেরিকায় খুবই জনপ্রিয় এই খেলা। এতে প্রয়োজন হয় ঘোড়া চালানোর দক্ষতা, দম আর দ্রুত গতির। এই পোলো খেলার জন্ম উত্তর-পূর্ব ভারতের মনিপুর রাজ্যে।
মনিপুরে ক্রিকেটের চেয়েও জনপ্রিয় পোলো খেলা। মনিপুর পোনি নামে পরিচিত ছোট্ট জাতের ঘোড়াকে নিয়ে সেখানে গান বাঁধা হয়, এমনকি সেখানে মন্দিরে ঘোড়ার পূজাও করা হয়।
শত শত বছর ধরে মনিপুরীরা ঘোড়ায় চড়ে 'সাগল কানযেই' নামের এক ক্রীড়ায় যোগ দিয়ে থাকেন। মনে করা হয় এই খেলাটিই আধুনিক পোলো খেলার পূর্বসূরী। আর ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সময় এই 'সাগল কানযেই' থেকেই পোলো খেলার প্রচলন শুরু হয়। দেবতা মার্জিং-এর মন্দিরে ঘোড়ার উপাসনা। কিন্তু মনিপুর পোনির আবাস ধীরে ধীরে মানুষের দখলে চলে যাচ্ছে। ঘোড়াগুলো এক সময় মনিপুরের সমতল আর জলাভূমিতে থাকতো, সেই জলাভূমি এখন আর নেই। আগের মতো গ্রামীণ মানুষও আর এসব ঘোড়াকে খাবার দেয় না।
চারণভূমির আয়তন কমে যাওয়ার ফলে এসব ঘোড়াকে এখন বাধ্য হয়ে জনবসতির কাছে আসতে হয়। খাবার খুঁজে নিতে হয় আবর্জনার স্তুপ থেকে। এর ফল হচ্ছে মারাত্মক। বিশেষভাবে প্লাস্টিকের ব্যাগ খাওয়ার পর ঘোড়াদের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
যদিও মনিপুর পোনি রক্ষার জন্য সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু আশঙ্কা করা হচ্ছে এসব ঘোড়ার জন্য নির্দিষ্ট অভয়ারণ্য তৈরি না হলে মনিপুর পোনিদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৫ জুলাই, ২০১৫/ রশিদা