১০ জুলাই, ২০২২ ১২:২৯

‘এ পঞ্চায়েতে যিনি কোরবানি দেননি তিনিও সমবণ্টনে মাংস পাবেন’

শামছুল হক রাসেল

‘এ পঞ্চায়েতে যিনি কোরবানি দেননি তিনিও সমবণ্টনে মাংস পাবেন’

দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী আদর্শ পঞ্চায়েত সর্দারদের একাংশ। ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাজধানীতে এখনও কয়েকটি পঞ্চায়েত ব্যবস্থা টিকে রয়েছে, যেগুলোর বয়স প্রায় ৫/৬ যুগের ওপর। বিশেষ করে রাজধানীর লালবাগ, বংশাল, রায় সাহেব বাজার, কলতাবাজার, গেন্ডারিয়া এবং যাত্রাবাড়িতে এখনো কয়েকটি পঞ্চায়েত সিস্টেম বা পদ্ধতি রয়েছে। এমনই একটি পঞ্চায়েত রাজধানীর দক্ষিণ যাত্রাবাড়ির আদর্শ পঞ্চায়েত। বৃহত্তর যাত্রাবাড়িতে মোট ৫টি পঞ্চায়েত রয়েছে এর মধ্যে এই আদর্শ পঞ্চায়েত একটি। এ পঞ্চায়েত বরাবরই বিভিন্ন দাতব্য ও সেবামূলক কর্মকাণ্ড করে আসছে। সবচেয়ে আলোচিত যে উদ্যোগটি গত কয়েক যুগ ধরে তারা করে আসছে তা হল পঞ্চায়েতের মাধ্যমে কোরবানির মাংস বণ্টন। কিন্তু গত দুই বছর করোনার কারণে এ কার্যক্রম স্থগিত ছিল। এবার ফের সরব হয়ে উঠেছে এ পঞ্চায়েতের সেই কোরবানির কার্যক্রম। 

বর্তমানে এই পঞ্চায়েতের সদস্য বা 'ঘর' সংখ্যা হল প্রায় ২৬০। আজ এদের মধ্যে ৭০টি পরিবার কোরবানি দিয়েছেন। আর বাকি ১৯০ পরিবার কোনো না কোনো কারণে কোরবানি দিতে পারেনি। ঈদের আনন্দে যেন ভাটা না পড়ে তাই তাদেরকেও পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সমবণ্টন করে কোরবানির মাংস দেয়া হচ্ছে।

 জবাইকৃত পশুদের মাংস বিতরণের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এ পঞ্চায়েতের প্রধান সর্দার নজরুল ইসলাম বলেন, 'মহামারী করোনার কারণে দুই বছর এ কার্যক্রম স্থগিত ছিল। আল্লাহর রহমতে এখন করোনার তেমন কোনো প্রকোপ নেই। তাই আমাদের সেই কার্যক্রম আবারও শুরু করেছি। আজ এ পঞ্চায়েতের ৭০টি পরিবার পশু কোরবানি দিয়েছে। সকালে তারা তাদের জবাইকৃত পশুর অর্ধেক পঞ্চায়েতের মাঠে দিয়ে গেছেন। এছাড়া সে জবাইকৃত পশুর চামড়াও পঞ্চায়েতে জমা দিয়েছেন। এভাবে ৭০টি পরিবারের অর্ধাংশ করে মাংস জমা হওয়ার পর নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে তা কেটে ভাগ করা হচ্ছে। '

তিনি আরও বলেন, 'আজ পঞ্চায়েতে মাংস দিয়েছে ৭০টি পরিবার। কিন্তু ভাগ হচ্ছে পঞ্চায়েতের ২৬০টি পরিবারের মধ্যে। অর্থাৎ এ পঞ্চায়েতের বা সমাজের যিনি কোরবানি দিয়েছেন তিনিও মাংস পান এবং যিনি কোরবানি দেননি তিনিও মাংস পান। এ পঞ্চায়েতের সব ঘরেই সমপরিমাণ কোরবানির মাংস পৌঁছায়। এছাড়া এখান থেকে আরেকটি বড় ভাগ দেয়া হচ্ছে গরীব ও দুস্থদের মাঝে। 

 জবাইকৃত পশুদের মাংস বিতরণের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, পঞ্চায়েতের আরেক সর্দার হাজী মোহাম্মদ নুরুল হক বলেন, জবাইকৃত পশুর চামড়াগুলো মাদ্রাসায় দিয়ে দেওয়া হবে। এর বিনিময়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো রকম মূল্য নেওয়া হচ্ছে না।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর