১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৯:৩৯

বসন্তের আমেজে পাহাড়ে পর্যটকের ঢল

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

বসন্তের আমেজে পাহাড়ে পর্যটকের ঢল

বসন্তের রঙ লেগেছে পাহাড়ে। দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটক হয়ে ছুটে আসছে প্রেমিক যুগল। আসছে দেশি-বিদেশি পর্যটকও। তাদের পদচারণায় মুখরিত রাঙামাটি পর্যটন কেন্দ্রগুলো। 

বুধবার ছিল পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালবাসা দিবস। তাই প্রিয়জনের সাথে নিজেকে প্রকৃতিকে উজার করে দিয়েছে অনেকে। সকাল থেকে রাঙামাটিতে ভিড় জমতে শুরু করেছে দূর-দূরান্তের পর্যটকের গাড়ির বহর। বাস, মাইক্রো ও প্রাইভেটকারে দখলে শহরের সড়কগুলো। এসব গাড়ি থেকে নামছেন হাজারও দেশি-বিদেশি পর্যটক। নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ, কেউ বাদ নেই ভ্রমণ তালিকায়। কারণ রাঙামাটির নৈসর্গিক আবেশ আর দর্শনীয় স্থানগুলো পর্যটকদের আকর্ষণ করে সহজেই। তাই অসংখ্য পর্যটকের আনাগোনা বেড়েছে রাঙামাটি শহরে। যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি দূর করতে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ভালবাসার দিন উপভোগ করতে ছুটে আসছেন এ পাহাড়ি জনপথে। 

রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে টানা বুকিং রয়েছে রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের মোটেলগুলোতে। প্রহেলা ফাল্গুন আর বিশ্ব ভালবাসা দিবস ঘিরে রাঙামাটি পর্যটন কেন্দ্র ও ঝুলন্ত সেতুতে পর্যটক আসছে চোখে পড়ার মতো। ছুটির দিন নাহলেও ভিড় কমতি ছিল না পর্যটন কেন্দ্রে। মানুষের আনাগোনায় উচ্ছ্বাসে পরিণত হয়েছে পুরো রাঙামাটি শহর। 

রাঙামাটি শহর ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটন নগরী রাঙামাটিতে পর্যটকদের আনন্দ ও মনোরঞ্জন জোগানোর অসংখ্য নৈসর্গিক কেন্দ্র সরকারি পর্যটন মোটেল, ডিসি বাংলো পার্ক, পেদাটিংটিং, সুবলং ঝর্ণা ও ভাসমান রেস্টুরেন্ট, রাঙামাটি পার্ক, সুখী নীল গঞ্জ, স্বচ্ছ কাপ্তাই হ্রদের জলে রোমাঞ্চকর নৌ-ভ্রমণ, পেদাটিংটিং। ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও প্রাচীন নিদর্শন। নানিয়ারচরের বুড়িঘাটে রয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফের স্মৃতিসৌধ, কাপ্তাই আসামবস্তি সড়ক, ফুরামন পাহাড় এখানে ছিল তরুণ-তরুণী ভিড়। কেউ লাল, কেউ হলুদ শাড়ি পরে পাঞ্জাবি পড়া প্রিয় মানুষের সাথে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। এছাড়া পিকনিক পার্টিদের দল ছিল চোখে পড়ার মতো। 

বরিশাল থেকে রাঙামাটিতে ঘুরতে আসা রায়হান রেজা বলেন, পরিবার পরিজন নিয়ে এই প্রথম এতো দূর এসেছি। কারণ রাঙামাটি আসলে সুন্দর। এরকম মনোরম ও নয়নাভিরাম দৃশ্য অন্য জেলার কোথাও দৃশ্যমান না। 

একইভাবে অনুভূতি প্রকাশ করেছে সাজিদা সাইমা। তিনি বলেন, বিয়ের পর প্রথম ভালবাসা দিবস কাটালাম রাঙামাটিতে। হানিমুনের ট্যুর হিসেবে সমুদ্রের চেয়ে আসলে রাঙামাটি অসাধারণ ছিল। 

অন্যদিকে, শুধু রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স না। পর্যটকদের আগমনে রাঙামাটি সব হোটেল ৮০ ভাগ বুকিং রয়েছে। এছাড়া শুক্র কিংবা শনিবার পর্যটকদের থাকার জায়গা দেওয়া যায় না। বুকিং থাকে ১০০ ভাগ। এছাড় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেও ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। যেন তিল পর্যন্ত জায়গা খালি নেই। 

রাঙামাটি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, প্রহেলা ফাল্গুন আর বিশ্ব ভালবাসা দিবস উপলক্ষে রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের কাপ্তাই হ্রদের ওপর দিয়ে নির্মিত মনোরম ঝুলন্ত ব্রিজটিতে হাজারও পর্যটকের ভিড় বেড়েছে। এছাড়া প্রতিদিন পর্যটকের আগমন ঘটছে পর্যটন কমপ্লেক্সে। এতে পর্যটন খাতে রাজস্ব আয়ও বেড়েছে। 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর