বিমানের রাডার ক্রয়সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নিজেকে পুরোপুরি নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চেয়েছেন। গতকাল ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবদুর রশিদ এ মামলায় আসামিদের আত্দপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে দোষী না নির্দোষ জিজ্ঞাসা করলে এরশাদসহ অন্য আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। এ সময় এরশাদসহ তিন আসামি বিচারককে জানিয়েছেন, তারা কোনো সাফাই সাক্ষ্য দেবেন না। পরে ২৯ মে যুক্তিতর্কের শুনানির দিনও ধার্য করেন বিচারক। নির্দোষ দাবি করা অন্য দুই আসামি হলেন বিমানবাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান সুলতান মাহমুদ ও মমতাজ উদ্দিন আহমদ। মামলার আরেক আসামি ইউনাইটেড ট্রেডার্স লিমিটেডের পরিচালক এ কে এম মুসা শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন। এর আগে দুই যুগ আগে করা এ মামলায় বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা, দুদকের উপ-পরিচালক মঞ্জুর আহমদসহ ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলার নথিসূত্রে জানা গেছে, ১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি দায়ের করে। পরে ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়। ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট মামলাটিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগপত্রে বলা হয়- তৎকালীন বিমানবাহিনী প্রধান সদর উদ্দিন আহমেদ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে বাহিনীর জন্য যুগোপযোগী রাডার কেনার আবেদন করেন। জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির নির্মিত অত্যাধুনিক একটি হাই পাওয়ার রাডার ও দুটি লো লেভেল রাডার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদসহ আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির অত্যাধুনিক রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কিনে সরকারের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি করেছিলেন।