রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ছাত্রলীগের সংঘর্ষ গোলাগুলি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ

ইবি প্রতিনিধি

ছাত্রলীগের সংঘর্ষ গোলাগুলি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ

সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্র ও পিস্তল নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সহ-সভাপতি গ্রুপের মধ্যে গতকাল আবারও সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ৮ রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়। এতে দুই গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সহ-সভাপতি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরই জেরে গতকাল সকাল থেকে সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজু গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সভাপতি গ্রুপের নেতা-কর্মীরা ছাত্রলীগের দলীয় টেন্ট এবং সহ-সভাপতি গ্রুপের নেতা-কর্মীরা বহিরাগতদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের পশ্চিম পাশে আমবাগানে অবস্থান করছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সহ-সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার ও ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রুপের শিশির ইসলাম বাবুকে উদ্দেশ করে উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে মিছিল বের করেন। এক পর্যায়ে মিছিল থেকে সভাপতি গ্রুপের ওপর হামলা চালানো হয়। এরপর সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে ৮ রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়। এক পর্যায়ে সহ-সভাপতি গ্রুপের ধাওয়ায় সভাপতি গ্রুপ টেন্ট থেকে বিতাড়িত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তারা হলেন আবদুর রহিম, মনির খান, আতাউর, বহিরাগত বশির, অনীক, এনায়েত করিম তপু প্রমুখ। এদিকে বেলা আড়াইটার দিকে সহ-সভাপতি গ্রুপের নেতা-কর্মীরা ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকারের পদত্যাগ দাবিতে মেইন গেটে মানববন্ধন করেন। পরে বিকাল ৩টায় ভিসির বাসভবনে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভিসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং এদিন বিকাল ৫টার মধ্যে সব আবাসিক শিক্ষার্থীকে হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। উল্লেখ করা হয়, আগামী ২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অফিস ও ৫ জানুয়ারি সব আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে। ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরি শফিকুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান জানান, ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ খবর