রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সেনা মোতায়েনের পরিস্থিতি হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেনা মোতায়েনের পরিস্থিতি হয়নি

কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেনা মোতায়েনের মতো কোনো পরিস্থিতিও হয়নি। বিচ্ছিন্ন দু-একটি ঘটনা ছাড়া আচরণবিধি মেনেই নির্বাচনী প্রচার চলছে। এ ছাড়া যে-ই (তিনি মন্ত্রী হন বা এমপি হন) আচরণবিধি লঙ্ঘন করবেন তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। 

২৩৪ পৌরসভায় ভোটের ১০ দিন আগে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনাররা। সিইসি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উদ্বেগ-আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। সেনা মোতায়েনের কোনো সম্ভাবনা রয়েছে কিনা— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিজিবি-র্যাব জানিয়েছে, তারা ফোর্স বাড়িয়ে দেবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেনা মোতায়েনেরও কোনো পরিস্থিতি হয়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে ওই বৈঠক করে ইসি। সংসদ নির্বাচন বর্জন করে আসা বিএনপি দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে সংশয় প্রকাশের পাশাপাশি তাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার বন্ধের দাবিও জানাচ্ছে। সিইসি বলেন, সন্ত্রাসীদের ধরপাকড়ে অ্যাকশন নেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভোট পর্যন্ত সন্ত্রাসী-অপরাধী ধরপাকড় কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত হবে। এ নিয়ে কোনো উদ্বেগ থাকবে না। জঙ্গি ও সন্ত্রাসের সমস্যা জেনারেল সমস্যা। এটা তেমন সমস্যা হবে না। মন্ত্রী-এমপিসহ সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছে বিএনপি। বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এসেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক সংসদ সদস্যের কাছ থেকেও। তবে সিইসি বলেন, মাঠে উত্সবমুখর পরিবেশে আচরণবিধি মেনেই প্রচার চলছে। দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে, ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে ইতিমধ্যে বিধি লঙ্ঘনের ৩৭টি অভিযোগ জমা পড়েছে, তার একটি তদন্তের জন্য রেখে বাকিগুলোর বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা নিতে বলেছে ইসি। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সব ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান কাজী রকিব। আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য এ পর্যন্ত কোনো মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান সিইসি। তবে তিনি বলেন, কয়েকজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাহী হাকিম ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে গণমাধ্যমে জেনেছি। তারা আমাদের কাছেও প্রতিবেদন দেবে। অনিয়ম ঘটলে দ্রুত অ্যাকশন নেওয়া হবে এখন। আড়াই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সিইসি বলেন, ভোট পরিস্থিতি শুনেছি, এখন পর্যালোচনা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করব। ভোটে পূর্ণ শৃঙ্খলা থাকবে। ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশে আগে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হলেও আগামীতে না হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কাজী রকিব। ‘আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলে দিয়েছি, আগে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, কিন্তু সামনে যাতে না হয়। সাংবাদিকরাও অনুমোদিত কার্ড নিয়ে ভোটে ব্যাঘাত না ঘটানোর বিষয়টি খেয়াল রাখবেন আশা করি।’ সব ধরনের শঙ্কা উড়িয়ে সিইসি বলেন, আমরা খুবই আশাবাদী, উত্সবমুখর ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।

সর্বশেষ খবর