পৌর নির্বাচনে জোট সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে ‘জোটবদ্ধভাবে’ প্রচারে নামবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট। গতকাল সকালে জোটের মহাসচিব পর্যায়ের এক বৈঠক শেষে এ কথা জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০-দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে বৈঠকে জোটের শরিক দল জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ঐক্যজোটের কোনো প্রতিনিধি অংশ নেননি। এতে সভাপতিত্ব করেন মির্জা ফখরুল। দলের যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহানও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইতিমধ্যে জোটের প্রার্থীদের পক্ষে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়েছে। শুক্রবার দিনাজপুর ও রংপুর— এ দুটি বৃহত্তর জেলায় কাজ শুরু হয়েছে। এতে ২০ দলের নেতা-কর্মীরা প্রচার চালিয়েছেন। অতি অল্প সময়ের মধ্যে ২০ দলের যে সমন্বিত প্রচার, তা আগামী দু-এক দিনের মধ্যে শুরু হবে। আমরা আশা করি, ২০ দলের নেতারা তাতে অংশগ্রহণ করবেন।’ বিএনপি জোট পৌর নির্বাচনকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একটি ধাপ হিসেবে নিয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে নির্বাচন কমিশন সব নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তার পরও আমরা গণতন্ত্রের স্বার্থে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য পৌর নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।’ পৌর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ইসির নিরপেক্ষতা প্রমাণের পরীক্ষা দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হবে নির্বাচন কমিশন কতটুকু নিরপেক্ষ থাকতে পারে। দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করতে পারে কিনা। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতা খুবই তিক্ত। কারণ বরাবরই সরকারদলীয় প্রভাবের কাছে তারা নতি স্বীকার করেছে।’ বৈঠকে জোট নেতা মোস্তফা জামাল হায়দার, ড. রেদোয়ান আহমেদ, ড. আহমদ আবদুল কাদের, খন্দকার লুত্ফর রহমান, গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, এম এম আমিনুর রহমান, আবদুল মতিন সৈয়দ, শেখ জুলফিকার চৌধুরী বুলবুল, হামদুল্লাহ আল মেহেদী, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, সৈয়দ মাহবুব হোসেন, খোকন চন্দ্র দাস, মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠকে ২০-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ঐক্যজোটের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘সরকারের মন্ত্রীরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন এবং পরিষ্কারভাবে তা গণমাধ্যমে আসছে। আজকের পত্রিকায় আছে নাটোরে কোনো একজন মন্ত্রী সেখানে সরকারদলীয় প্রার্থীর বাসায় প্রায় ঘণ্টাখানেক সভা করেছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের উদ্বোধন করেছেন। এতে প্রমাণিত হয়, নির্বাচন কমিশন তাদের বিরত করতে পারছে না। এর মানেই হচ্ছে কমিশন ব্যর্থ হচ্ছে। তাদের অযোগ্যতা প্রমাণ করছে। সে জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব আয়োজন সম্পন্ন করুন।’ জোটের এক শরিক দলের নেতা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এটা একটা আইওয়াশ বৈঠক। বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে জোটের নেতাদের যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
শিরোনাম
- আইপিএলে অনিশ্চয়তায় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা
- দিল্লির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়: আসিফ মাহমুদ
- এল ক্লাসিকোতে হ্যাটট্রিক করে এমবাপ্পের নতুন রেকর্ড
- তুরস্ক যে কারণে ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়
- ব্যক্তি বা সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন
- 'রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আ. লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো'
- তীব্র তাপদাহে আক্রান্তদের জন্য মহাখালীতে হিটস্ট্রোক সেন্টার চালু
- কর ফাঁকির সুযোগ নেই, সবাইকে কর দিতে হবে: ডিএনসিসি প্রশাসক
- ১৫ বা তার কম বয়সেই যৌন সহিংসতার শিকার প্রতি পাঁচজন নারীর একজন
- কুয়াকাটায় নানা আয়োজনে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত
- কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে তিন কৃষকের মৃত্যু
- কলমাকান্দায় রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞাত ব্যক্তি উদ্ধার
- আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের
- উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ববিতে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা
- আল-নাসর ছাড়ার পথে রোনালদো?
- পুঁজিবাজার পরিস্থিতির উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টার পাঁচ নির্দেশনা
- কিশোর কর্মচারীর গায়ে ভাতের গরম মাড় ঢেলে দিল বাবুর্চি
- পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতায় ভারত ‘অপ্রস্তুত, খানিকটা বিস্মিত’: ব্রিটিশ বিশ্লেষক
- নাটোরে জামায়াতের আনন্দ মিছিল
- ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, দেশে বিভক্তির কোনো সুযোগ থাকবে না : আমীর খসরু
ভোটের প্রচারে নামবে জোট : ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর