শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

রেকর্ড গড়েও হার বাংলাদেশের

মেজবাহ্-উল-হক

রেকর্ড গড়েও হার বাংলাদেশের

মুশফিক সৌম্যের অর্ধশতকে বড় সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ —রোহেত রাজীব

স্বপ্নের পথটা তৈরি করে দিয়েছিলেন ব্যাটসম্যানরা! কিন্তু বাস্তবায়নের কাজটা করতে পারলেন না বোলাররা। তাই তো ব্যাটিংয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে হতাশার হারে মাথা নিচু করে মাঠ থেকে বের হতে হলো টাইগারদের। টি-২০ ক্রিকেটে ১৯৪ রানের টার্গেটে পৌঁছানো কঠিন কাজ। সেটা যে কোনো উইকেটেই কঠিন। কিন্তু গতকাল শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে লঙ্কানদের এই কঠিন কাজ পানির মতো সহজ করে দিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। যে ম্যাচে বড় জয় পাওয়ার কথা বাংলাদেশের, সেই ম্যাচেই রীতিমতো উড়ে গেল তারা। লঙ্কানরা জিতল ২০ বল হাতে রেখেই। ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এমন হারে বাংলাদেশের ক্রিকেটের যেন কঙ্কাল বেরিয়ে এলো। আহা সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের কী অসাধারণ ব্যাটিং! ত্রি-দেশীয় সিরিজ ও টেস্ট সিরিজের দলে সুযোগ না পাওয়ায় আক্ষেপের আগুনে পুড়ে জ্বলতে থাকা সৌম্য কাল মাত্র ৩২ বলে খেলেছেন ৫১ রানের ঝলমলে ইনিংস। বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানদের টি-২০ ক্যারিয়ারে এটি প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। গতকালই টি-২০-তে নিজের সেরা ইনিংস খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। তার ৪৪ বলে করা অপরাজিত ৬৬ রানের ইনিংসটা কতই না চমৎকার! মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ৩১ বলে ৪৩ রানের ইনিংসটাও ছিল অসাধারণ। সাকিবের ইনজুরির কারণে টেস্টের পর টি-২০-তেও নেতৃত্বে অভিষেক হলো ময়মনসিংহের এই ক্রিকেটারের। ব্যাটিংয়ে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিলেন। কিন্তু বোলারদের ব্যর্থতার দিনে হতাশা নিয়ে ফিরতে হলো মাঠ থেকে। এই হারের দায় ব্যাটসম্যানদের নয়, বোলারদের। যদিও কাল প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান করার পরও ১৯৩ রানের স্কোরকে কিছুটা ‘ছোট’ই মনে হবে। কিন্তু টি-২০-তে ১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে যখন প্রতিপক্ষ ২০ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় সেখানে দায়টা বোলারদেরই নিতে হয়। টি-২০-তে এর আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের স্কোর ছিল ১৯০। সেটি ছিল ২০১২ সালে বেলফাস্টে, আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এর আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ১৮১, পাল্লেকেলেতে ২০১৩ সালে। কাল দুই রেকর্ডই পেছনে ফেলে করল ১৯৩ রান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দল হেরে যাওয়ায় এই রেকর্ডগুলো হয়ে থাকল পরিসংখ্যানের খেরোখাতার কিছু সংখ্যা মাত্র!

সর্বশেষ খবর