মঙ্গলবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

ব্যাংকের সংখ্যা নিয়ে চিন্তিত নই

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যাংকের সংখ্যা নিয়ে চিন্তিত নই

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, অনুমোদন পাওয়া নতুন তিনটি ব্যাংকের বিষয়ে তিনি তেমন কিছু জানেন না। নিশ্চয় চাহিদার ভিত্তিতেই নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দেশে কত সংখ্যক ব্যাংক রয়েছে তা কোনো বিষয় নয়, বরং মুখ্য বিষয় হলো- মানুষ সেবা পাচ্ছে কি না। এ জন্য ব্যাংকের সংখ্যা নিয়ে তিনি চিন্তিত নন বলেও জানান। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে পার্চেজ কমিটির বৈঠকে ঢোকার আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভায় রবিবার নতুন তিনটি ব্যাংকের নীতিগত অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ব্যাংকগুলো হলো- বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, দ্য সিটিজেন ব্যাংক ও পিপলস ব্যাংক। এ তিন ব্যাংক অনুমোদনের ফলে দেশে সব মিলিয়ে তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়াল ৬২টিতে। নতুন তিনটি ব্যাংক অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তিনটি ব্যাংক সম্পর্কে আমাকে জানতে হবে। আমি এখনো জানি না। আমার মনে হয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্নর মহোদয়ের সঙ্গে আলাপ করলে আমরা তথ্য পাব। তখন ভালো হবে।’ তিনি বলেন, কালকে তো বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর মহোদয় বলেছেন, ডেফিনেটলি প্রয়োজনীয়তা না থাকলে এ কাজ করতেন না। তাদের হয়তো ইন্সট্রাকশন আছে, প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন এবং সেই প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে তারা করে থাকতে পারেন। আগের অর্থমন্ত্রী বলতেন, বাংলাদেশে আর নতুন ব্যাংকের প্রয়োজন নেই-এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশে কয়টি ব্যাংক আছে তা বড় ব্যাপার নয়। ব্যাংকগুলো যদি স্বাভাবিকভাবে নিয়ম-নীতি মেনে চলে, সংখ্যা দিয়ে কোনো কিছু হবে না। ব্যাংকের কার্যক্রম যদি থাকে, যে উদ্দেশ্যে ব্যাংক করা সেভাবে যদি কাস্টমারদের নিয়মানুযায়ী সার্ভিস দিতে পারে, এতে সমস্যা নেই।

তিনি বলেন, ‘আমাদের যে ব্যাংকগুলো আছে, ৪০০-৫০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন-দিস ইজ হোয়াট। বিদেশে যে কোনো একটি ব্যাংকের শাখার সমপরিমাণ পরিশোধিত মূলধন ও সম্পদ আমাদের ২০টি ব্যাংকেরও নেই। সুতরাং নম্বর দিয়ে কিছু হবে না। আপনি বড় একটা (ব্যাংক) করেন, ৫০টা না করে। সেই একই কথা হলো। আমি মনে করি নম্বর দিয়ে কিছু যায়-আসে না। আমাদের চাহিদা আছে কি না, চাহিদা নিরূপণ করে যদি করা হয়ে থাকে তাহলে তা ভালো। আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং যারা সংশ্লিষ্ট আছেন তারা সবাই কমপ্লিটলি একটা স্টাডি করে, স্টাডির ভিত্তিতেই তারা সেটা করেছেন।’

 

সর্বশেষ খবর