বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, পুলিশের হুইসেলে দৌড় দিলে গণআন্দোলন হবে না। আজকে কাউকে ক্ষমতায় চিরস্থায়ী করার জন্য একটা শক্তি বিএনপিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে। এ শক্তিটি বড় শক্তি। এ শক্তিকে ধ্বংস করতে হলে শুধু গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমেই ধ্বংস করা যাবে। বিএনপির আন্দোলনের মূল শক্তি ছাত্রদল। আমাদের অঙ্গসংগঠনগুলো যদি রাজপথ প্রকম্পিত করতে না পারে তাহলে বুড়োদের দিয়ে আন্দোলনে মানুষ আসবে না। আন্দোলনে মানুষ আসে যেখানে তারুণ্য থাকে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৪তম কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, চেয়ারপারসনের বিশেষ সম্পাদক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্র দলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ বক্তব্য দেন।  টুকুু বলেন, আজকে ব্যক্তিসর্বস্ব দলের অবস্থা হয়েছে। ব্যক্তির নাম বলতে হবে, তাহলে হাতের তালি পড়বে। এ দিয়ে আন্দোলন হয় না। ঊনসত্তরের আন্দোলনের দিন আগুনটা জ্বলেছিল আসাদের রক্ত দিয়ে, আসাদ জীবন দিয়েছে। আসাদের লাল শার্ট ছিল সেই আন্দোলনের মূলমন্ত্র। যে আন্দোলন মাওলানা ভাসানী এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব মুক্তি পেয়েছিলেন। আন্দোলন করতে হলে আগে নিজেদের তৈরি হতে হবে। তোমাদের বলতে চাই, নিজের এলাকায় গিয়ে দুর্গ গড়ে তোলো।

তখন দেখবা আন্দোলন শুরু হয়ে গেলে এমনিতেই নাম এসে যাবে, হাতের তালি দিতে হবে না। সেলিমা রহমান বলেন, আমরা এক ঘোর অন্ধকারের মধ্যে বাস করছি। আমাদের গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে, অবৈধভাবে কারাগারে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। তার চিকিৎসা পর্যন্ত ওরা (সরকার) করতে দিচ্ছে না। শুধু তাই নয়, তারা আমাদের তারুণ্যের প্রতীক তারেক রহমানকেও মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশে আসতে দিচ্ছে না। এ সরকার তাকে ভয় পায়।