করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কমসংখ্যক মুসল্লি নিয়ে গতকাল বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন কাসেম। নামাজ শেষে মোনাজাতে তিনি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে পরিত্রাণ চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় মুসল্লিদের কান্নার রোল পড়ে। ইমাম সাহেব যে কক্ষে নামাজ পড়ান সেখানেই কেবল মুসল্লি ছিল। সংক্ষিপ্ত খুতবায় জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। একই উদ্দেশ্যে ওজুখানা বন্ধ রাখা হয়। পবিত্র জুমার নামাজ পড়তে তরুণ ও যুবকদের বেশি দেখা যায়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশনা অনুসরণ করে অসুস্থরা মসজিদে আসেননি। এ সময় মুসল্লিরা মাস্ক পড়ে সচেতন ও সতর্কতার সঙ্গে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষ করে দ্রুত মসজিদ ত্যাগ করেন। এর আগে খুতবাপূর্ব বয়ানে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার জন্য বায়তুল মোকাররমের ইমাম মুসল্লিদের প্রতি আহ্বান জানান। শুধু বায়তুল মোকাররমে নয়, ঢাকাসহ সারা দেশের মসজিদে সীমিত মুসল্লিতে জুমার নামাজ আদায় হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদে দূরত্ব বজায় রেখে জুমার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। মোনাজাতে এ ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মহান আল্লাহর কাছে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া : করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব থেকে মুক্তি পেতে চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন মসজিদে গতকাল জুমার নামাজের পর বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়। খুতবার মূল বিষয় ছিল করোনাভাইরাস ও মহামারীকেন্দ্রিক। নামাজের পর নগরীর আন্দরকিল্লাহ শাহী জামে মসজিদ, জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদ, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া জামে মসজিদ, দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী জামে মসজিদ, পটিয়া মাদ্রাসা জামে মসজিদসহ নগরী ও জেলার প্রায় সব মসজিদে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব থেকে দেশ ও জনগণকে রক্ষা করার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া চেয়ে মোনাজাত করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নগরী ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাত ১০টায় একই সময়ে আজান দেওয়া হয়।