বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত অন্যতম আসামি রিসালদার মুসলেহউদ্দিন কোথায়- কোনো দেশই এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেনি। তবে পলাতক আরেক খুনি ক্যাপ্টেন (বহিষ্কৃত) আবদুল মাজেদকে গ্রেফতারের পর মুসলেহউদ্দিনের অবস্থানের বিষয়ে জট খুলতে শুরু করেছে। রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে সোমবার রাতে মাজেদকে গ্রেফতারের পর সংশ্লিষ্টরা অনেকটাই নিশ্চিত যে মুসলেহউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গেই অবস্থান করছেন। যদিও পুলিশ সদর দফতরের এনসিবি শাখা থেকে কয়েক বছর ধরে ভারত এবং পাকিস্তানের কাছে ইন্টারপোলের মাধ্যমে জানতে চাওয়া হলেও এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর পায়নি কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এনসিবি) মহিউল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আমাদের ধারণা মুসলেহউদ্দিন ভারত কিংবা পাকিস্তানে অবস্থান করছেন। নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমরা দফায় দফায় ওই দুটি দেশকে চিঠি লিখেছি। কিন্তু কোনো উত্তর পাইনি। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সর্বশেষ গ্রেফতার আবদুল মাজেদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল মুসলেহউদ্দিনের। সম্প্রতি ভারতে এনআরসি এবং করোনাভাইরাস মোকাবিলা নিয়ে তোড়জোড় শুরু হলে তারা দুজনই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। বেকায়দায় পড়ে ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকেন। মাজেদ বেশ কিছু দিন পাঞ্জাবে অবস্থান করলেও স্বস্তিতে ছিলেন না। সেখানেও সুবিধা করতে পারেননি। অবশেষে করোনাকে পুঁজি করেই গত ২৬ মার্চ সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্ত দিয়ে দেশে ঢোকেন। পরে একাধিকবার রুট পরিবর্তন করে ঢাকায় চলে এলেও ধরা পড়ে যান গোয়েন্দা জালে। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পলাতক আর ৪ আসামির একজন মেজর (অব.) নূর চৌধুরী কানাডায় ও লে. কর্নেল (অব.) রাশেদ চৌধুরী আমেরিকায় অবস্থান করছেন। রশিদ ও ডালিমের বিষয়েও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই সরকারের কাছে। তবে তারা ইউরোপ কিংবা আফ্রিকার কোনো দেশে অবস্থান করছেন। তাদের ধরতে ইন্টারপোল রেড নোটিস জারিও অব্যাহত রেখেছে। ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হয়। মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে কারাগারে থাকা পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। তারা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ, অবসরপ্রাপ্ত মেজর এ কে বজলুল হুদা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর এ কে এম মহিউদ্দিন। বাকি সাতজনের মধ্যে আজিজ পাশা জিম্বাবুয়েতে রাজনৈতিক আপ্রয়ে থাকা অবস্থায় ২০০১ সালের ২ জুন মারা যান বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়।
শিরোনাম
- চলতি বছর ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন ১০ লাখের বেশি করদাতা
- ‘শাপলা যদি দিতেই চান একটু ফুটাইয়া দিলে ক্ষতি কী?’
- পাপ ও প্রতিশোধের ভয়ংকর গল্প ‘কিতাব সিজ্জিন দান ইল্লিয়িন’ আসছে স্টার সিনেপ্লেক্সে
- কাশ্মীরে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের ঘোষণা পাকিস্তানের
- নিজেদের সেনাদের মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে রুশ কমান্ডাররা
- সুদানের এল ফাশেরে ১৪ হাজারের বেশি বেসামরিক নিহত
- বিএমএ ‘হল অব ফেইম’-এ অন্তর্ভুক্ত হলেন নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী প্রধান
- তুরস্কের অনুরোধে আফগানিস্তান-পাকিস্তান ফের আলোচনায় বসছে
- মহাকাশ মিশনে যাচ্ছেন প্রথম পাকিস্তানি নভোচারী
- প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন আপিল কমিটি গঠন
- রাবিতে যাতায়াত সুবিধায় ই-কার সার্ভিস চালুর ঘোষণা
- কুমিল্লায় নিখোঁজের ৭ দিন পর শিশু আদিবার মরদেহ উদ্ধার
- ইরানের চাবাহার বন্দর নিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ছাড় পেল ভারত
- ছাত্ররাই যুগে যুগে দেশকে রাহুমুক্ত করেছে: টুকু
- নির্বাচনী আইন ও বিধি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা জরুরি
- স্থানীয় স্তরে সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগের আহ্বান
- ভিয়েতনামে বন্যায় ১০ জনের প্রাণহানি
- মোংলায় পুষ্টি, স্বাস্থ্যবিধি ও বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য সচেতনতা কার্যক্রম
- রংপুরে দুই ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার ও একটি ডায়াগনোস্টিক সেন্টার সিলগালা
- দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের আইটি ফেয়ার, পণ্য ক্রয়ে থাকছে বিশেষ সুবিধা
রিসালদার মুসলেহ উদ্দিন কোথায়
সাখাওয়াত কাওসার
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর