ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। একই সঙ্গে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার এ আদেশ দেন। এর ফলে এ মামলায় অনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
সূত্র জানায়, গতকাল শুনানির সময় এ মামলার আসামি মজনু কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন। আদালতে তার পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। তবে মজনু কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান। গত ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার মামলায় মজনুর বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। মামলার অভিযোগপত্রে ১৬ জনকে সাক্ষী করা হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোনসহ মামলার আলামত হিসেবে ২০ ধরনের জিনিসপত্র জব্দ দেখানো হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামি মজনু একজন অভ্যাসগত ধর্ষক। প্রতিবন্ধী ও ভ্রাম্যমাণ নারীদের ধর্ষণ করে আসছিলেন তিনি। গত ৫ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড থেকে ফুটপাথ দিয়ে হেঁটে গলফ ক্লাবসংলগ্ন স্থানে পৌঁছান। এ সময় মজনু তাকে পেছন থেকে গলা ধরে মাটিতে ফেলে দেন। তার গলা চেপে ধরেন। ছাত্রী চিৎকার করতে গেলে মজনু তাকে কিলঘুষি মারেন। ভয়ভীতি দেখান। ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে ধর্ষণ করেন মজনু। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। র্যাব-১ অভিযান চালিয়ে মজনুকে গ্রেফতার করে। পরে মজনু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করে গত ১৬ জানুয়ারি আদালতে জবানবন্দি দেন।
