বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ভাটারা এলাকায় সিরিয়াল রেপিস্ট গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে একাধিক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে (সিরিয়াল রেপিস্ট) দেওয়ান রসুল হৃদয় (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার ভাটারা থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। টিকটকের কথিত মডেল হৃদয়। তিনি মডেল বানানোর ফাঁদে ফেলে ছাত্রীদের সিরিয়াল ধর্ষণের ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। ইতিমধ্যে হৃদয়ের নির্যাতনের শিকার চার তরুণী  পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশ জানায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর নিজের বন্ধুদের নিয়ে গাজীপুরের একটি রিসোর্টে পার্টির আয়োজন করে হৃদয়। সেখানে পরিচয়ের সূত্রে দুই কলেজ শিক্ষার্থী মডেল হওয়ার আগ্রহ দেখায়। এর দুই দিন পর হৃদয়ের এক বান্ধবীর মাধ্যমে তারা কুড়িলে হৃদয়ের বাসায় আসে। টিকটকের শুটিং শুরু হওয়ার কথা বলে তাদের ওই বাসার নিচতলার একটি কক্ষে থাকতে দেওয়া হয়। এরপর ওই ছাত্রীদের ওপর পাশবিকতা চালায় সে। হৃদয়ের ফেসবুকে ‘টিকটক ও লাইকিতে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে’- এমন বিজ্ঞাপন দেখে গত ২০ সেপ্টেম্বর আরও দুই শিক্ষার্থী হৃদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাদেরও হৃদয় শুটিংয়ের কথা বলে নিজের বাসায় থাকতে দেয়। পরদিন সকালে তাদের মধ্যে একজনকে বাসার তৃতীয় তলায় নিয়ে পাশবিকতা চালানো হয়। ওই রাতেই আরেক শিক্ষার্থীর ওপর চলে পাশবিকতা। ধর্ষণের কথা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয় হৃদয়। ভুক্তভোগী একজন ২৮ সেপ্টেম্বর ভাটারা থানায় একটি মামলা করে। পরে অভিযুক্ত হৃদয়কে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ আরও জানায়, মডেল বানানোর কথা বলে হৃদয় ছাত্রীদের বাসায় ডেকে নিতেন। পরে সুযোগ বুঝে তাদের ধর্ষণ করতেন। গত ১৬ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর হৃদয়ের কুড়িলের বাসায় চার ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ফাঁস হয়েছে। পাশবিকতার শিকার ছাত্রীদের তিনজন কলেজ এবং একজন স্কুল পড়ুয়া। তাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে। তারা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় থাকে। গ্রেফতার হৃদয় একজন সিরিয়াল রেপিস্ট। ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান বলেন, ঘটনার শিকার চার ছাত্রীর একজন থানায় অভিযোগ দিয়েছিল। এরপর পুলিশ ঘটনা তদন্ত করতে গেলে কথিত মডেল হৃদয়ের হিংস্র রূপ বেরিয়ে আসে। পুলিশ জানতে পারে একজন নয়, একে একে চারজনকে ধর্ষণ করেছে ওই নরপশু। কুড়িলের বাড়িটি হৃদয়ের নিজস্ব। পরিচয় গোপন করে মেয়েদের বাড়ির নিচতলায় ভাড়াটে হিসেবে রাখত। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হৃদয়ও তার অপকর্মের কথা স্বীকার করেছে। ডিএমপির বাড্ডা জোনের এসি এলিন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি জানার পরই ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানো হয়। পরে অভিযান চালিয়ে হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার তিনজন ও যৌন হয়রানির শিকার একজন পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর