মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

অযোগ্য নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ চায় গোটা জাতি : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অযোগ্য নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ চায় গোটা জাতি। বর্তমান নির্বাচন কমিশন একটি অযোগ্য, অথর্ব কমিশন। এ কথাগুলো আমরা এই ইসি গঠনের সময় থেকে বলে আসছি। আমরা ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিককে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা এত দিন পর হলেও জনগণের মূল সমস্যার কথা বলেছেন। তাদের যে দায়িত্ব আছে তা তারা পালন করেছেন। একে সব বুদ্ধিজীবীর সমর্থন করা উচিত। ইটস নট ফর বিএনপি, নট ফর পলিটিক্যাল       পার্টি। এটা দেশের জন্য, জাতির জন্য প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশন টাকা চুরি করে, ভোট চুরিতে সহায়তা করে। গতকাল দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আমার খুব দুঃখ হয় যখন দেখি আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বলেন, বিএনপির মধ্যে গণতন্ত্র নেই। তারই এটা (হাফিজ উদ্দিন আহমদ ও শওকত মাহমুদ শোকজ) প্রমাণ। এটা ভূতের মুখে রাম রাম! আওয়ামী লীগ নিজেই দেশের গণতন্ত্র খেয়ে ফেলেছে। মানুষের অধিকার বলতে কিছু নেই। এখন তারা অন্যের মুখে গণতন্ত্র খুঁজে বেড়াচ্ছে। মির্জা ফখরুল দাবি করেন, বিএনপির মধ্যে গণতন্ত্র আছে বলেই তো বিএনপি এখন পর্যন্ত এত অটুট। সুদৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ, সুসংগঠিত। বিএনপির মতো উদারপন্থি, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলে ছোটখাটো দু-একটি ঘটনা কিছুই নয়। এটাকে এত বড় করে যারা দেখছেন তারা আমার মনে হয় ঠিকভাবে দেখছেন না। এ সরকার চরমভাবে গণতন্ত্র হত্যা করছে। গণতন্ত্রের পরিবেশ একেবারে বিনষ্ট করে ফেলেছে। একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে। ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিকের দেওয়া বিবৃতি নিয়ে তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ৪২ জন নাগরিক রাষ্ট্রপতির কাছে এক বিবৃতি পাঠিয়েছেন। তথ্যমন্ত্রী বলেছেন এটা বিএনপির অফিসে ড্রাফট হয়েছে। যা একজন মানুষও বিশ্বাস করে না। যারা বিবৃতি দিয়েছেন তারা একজনও বিএনপি করেন না। বরং বিভিন্ন সময়ে তারা বিএনপির সমালোচনা করেছেন। প্রকৃত সত্য যখনই সামনে আসে এবং জনগণ যখন সত্য বলতে চায়, নাগরিকরা সত্য বলতে চায় তখনই তাদের বিএনপি বানিয়ে ফেলা হয়। এটা হচ্ছে গণতন্ত্র ধ্বংস করার আরেক জঘন্যতম কৌশল। মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদের লিখিত জবাবে বিভিন্ন অভিযোগ ও সুপারিশের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ ব্যাপারে আমরা এখনো আলোচনা করিনি, কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এর আগে সরকার এমনভাবে লাফালাফি করেছে মনে হয় যেন সবকিছু চলে যাচ্ছে। এটাতেই গণতন্ত্র ধ্বংস হচ্ছে। তারা মেজর হাফিজের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেছে। তার বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা করেছে। একটা নয়, দশটা মামলা। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের মুখে মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে কথা বলা শোভা পায় না।

সীমান্ত হত্যা বন্ধে সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সীমান্তে ভারতীয় রক্ষীবাহিনীর হাতে বাংলাদেশের নাগরিকদের যে নির্বিচার হত্যা হতে হচ্ছে, নিহত হতে হচ্ছে তার প্রতিবাদে আজকে আমরা কালো ব্যাজ ধারণ করেছি। এটা আমাদের একটা প্রতিবাদ। সে অনুযায়ী আমিও আজ (গতকাল) এ সংবাদ সম্মেলনে আপনাদের সামনে কালো পোশাক পরিধান ও কালো ব্যাজ ধারণ করেছি। সীমান্ত হত্যার আমরা অবসান চাই। আমরা অবিলম্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধের জন্য সরকারের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

 

সর্বশেষ খবর