বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এখনো আন্দোলনের ডাক দেওয়ার সময় আসেনি। সময় হলেই ডাক আসবে। তবে ছাত্র-যুবকরা মাঠে না নামলে আন্দোলনে সফলতা অর্জন কঠিন। ছাত্র-শ্রমিক-যুবক-তরুণদের সংগঠিত করে তাদের নেতৃত্বে রাজপথে গণঅভ্যুত্থান হবে।’ জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, ড্যাব নেতা ডা. মোহাম্মদ আবদুস সালাম, ডা. মাজহারুল ইসলাম দোলন, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম, ডা. আবু হেনা, ডা. আবুল হাসান, সাবেক ছাত্রদল নেত্রী সেলিনা সুলতানা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগে ছাত্র ও শ্রমিক সংগঠনগুলো যে কোনো আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করত। আমরা যেটাকে বলি ভ্যানগার্ড, এখন কোথায়? এখন তারা অপেক্ষা করতে থাকে বিএনপি কবে মিটিং করবে! অথচ তরুণরা ভাষা আন্দোলনের সময়ও সবাইকে টেনে নিয়ে এসেছে। আজকেও ছাত্র-শ্রমিকদের বড় ভূমিকা পালন করতে হবে।’ বিএনপি মহাসচিব দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘তরুণ শিক্ষার্থীদের এখন প্রতিবাদী মানসিকতা নেই। আমরা যখন তরুণ ছিলাম তখন অন্যায়ের প্রতিবাদ করতাম। এখন আমাদের বয়স হয়েছে। আমানউল্লাহ আমানরা ’৯০-এ তরুণ বয়সে প্রতিবাদ করেছেন। এখন আমানউল্লাহ আমানদের আন্দোলনের ডাকে তরুণরা আর সাড়া দিচ্ছে না। কেন দিচ্ছে না? কারণ ’৯০ আর ২০২১ এক নয়। এখনকার তরুণদের মধ্যে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার মানসিকতা দেখি না। তারা হুকুমের অপেক্ষায় থাকে। আমরা কারও হুকুমের অপেক্ষায় থাকতাম না।’ তিনি আরও বলেন, বিএনপি আন্দোলন করেছে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে। জনগণ তখন সারা দেশ বন্ধ করে দিয়েছিল। কাজেই সময় হলে বিএনপি আন্দোলন করবে। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, এ সরকার জনগণের সরকার নয়। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে পুলিশ, র্যাব, প্রশাসন, বিচার বিভাগ এমনকি মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষমতায় টিকে আছে সরকার। আওয়ামী লীগ কখনই সুষ্ঠু নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তাই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে তারা। এ সরকার জনগণের সবচেয়ে ক্ষতি করেছে। ডিসি-এসপিরা বক্তব্য দেয়, এ সরকার তারা বানিয়েছে। তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলেন ২০১৮ সালের নির্বাচনে গিয়ে আমরা ভুল করেছিলাম। আমি এখনো মনে করি আমরা ভুল করিনি। কারণ আমরা চেষ্টা করেছিলাম সমস্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে ওই নির্বাচনের মাধ্যমেই তাদের পরাজিত করতে। কিন্তু আমরা তা পারিনি।’
